হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- শেষ পর্ব

হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- পর্ব ১২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন    

কিছুক্ষণের স্তব্ধতা। পরে সবাই যখন তাঁর ঘরে এলেন, তখন দেখা গেল হযরত রাবেয়া (রঃ)-এর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। জীবনের অন্তিম এবাদত শেষ করে তিনি যেন চিরনিদ্রায় অভিভূতা। এক নিষ্প্রদীপ আলয়ে, রাতের অন্ধকারে তিনি এসেছিলেন। আর আজ মানুষের জন্য এক আলোর ভুবন রচনা করে চলে গেলেন তাঁর মহিমায় প্রভু ও প্রেমাস্পদের কাছে।

আল্লাহর বিধিবিধানে একটুকু ব্যতিক্রম ঘটেনি তাঁর জীবনে। আল্লাহ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সংস্পর্শ ছাড়া অন্য কোন ইচ্ছার অনুবর্তী হননি কোনদিন।

মৃত্যুর পর তাঁকে এক শুভ্র হৃদয় ব্যক্তি স্বপ্নে দেখেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কবরে মুনকার-নকীর আপনাকে কি প্রশ্ন করেন আর আপনিই বা তার উত্তরে কি উত্তর দেন? তিনি বললেন, তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, বলুন, আপনার প্রভু কে? আমি বলেছিলাম, দয়া করে আপনারা আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়ে আমার এ কথাগুলো তাঁকে বলুন যে, জগতে এত লোক থাকা সত্ত্বেও আপনি এই অবলা দাসীকে ভুলবেন না। আমি তো আপনাকে ছাড়া আর কাউকে বন্ধু বলে জানি না, তা সত্ত্বেও আপনি কিভাবে অন্যকে পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, বল, তোমার প্রতিপালক কে?

কত আলোকোজ্জ্বল মানুষ তাঁর পবিত্র কবর জিয়ারতে গেছেন। আর উজ্জ্বলতর হয়েছেন আরও। একদিন তাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হযরত আসলাম (রঃ) ও হযরত নিজাম তুসী (রঃ) জিজ্ঞেস করেছেন, আয় তাপসী! আপনি তো গর্ব করতেন, ইহকাল ও পরকাল থেকে মুক্তিলাভ করেছেন। এখন বলুন, আপনি কী অবস্থায় রয়েছেন?

তৎক্ষণাৎ উত্তর এল, আমি ইহকালে যা দেখেছি এখনও যা দেখছি, আপনাদেরও ভাগ্যেও যেন তাই হয়।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- শেষ পর্ব

হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- পর্ব ১২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন    

কিছুক্ষণের স্তব্ধতা। পরে সবাই যখন তাঁর ঘরে এলেন, তখন দেখা গেল হযরত রাবেয়া (রঃ)-এর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। জীবনের অন্তিম এবাদত শেষ করে তিনি যেন চিরনিদ্রায় অভিভূতা। এক নিষ্প্রদীপ আলয়ে, রাতের অন্ধকারে তিনি এসেছিলেন। আর আজ মানুষের জন্য এক আলোর ভুবন রচনা করে চলে গেলেন তাঁর মহিমায় প্রভু ও প্রেমাস্পদের কাছে।

আল্লাহর বিধিবিধানে একটুকু ব্যতিক্রম ঘটেনি তাঁর জীবনে। আল্লাহ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সংস্পর্শ ছাড়া অন্য কোন ইচ্ছার অনুবর্তী হননি কোনদিন।

মৃত্যুর পর তাঁকে এক শুভ্র হৃদয় ব্যক্তি স্বপ্নে দেখেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কবরে মুনকার-নকীর আপনাকে কি প্রশ্ন করেন আর আপনিই বা তার উত্তরে কি উত্তর দেন? তিনি বললেন, তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, বলুন, আপনার প্রভু কে? আমি বলেছিলাম, দয়া করে আপনারা আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়ে আমার এ কথাগুলো তাঁকে বলুন যে, জগতে এত লোক থাকা সত্ত্বেও আপনি এই অবলা দাসীকে ভুলবেন না। আমি তো আপনাকে ছাড়া আর কাউকে বন্ধু বলে জানি না, তা সত্ত্বেও আপনি কিভাবে অন্যকে পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, বল, তোমার প্রতিপালক কে?

কত আলোকোজ্জ্বল মানুষ তাঁর পবিত্র কবর জিয়ারতে গেছেন। আর উজ্জ্বলতর হয়েছেন আরও। একদিন তাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হযরত আসলাম (রঃ) ও হযরত নিজাম তুসী (রঃ) জিজ্ঞেস করেছেন, আয় তাপসী! আপনি তো গর্ব করতেন, ইহকাল ও পরকাল থেকে মুক্তিলাভ করেছেন। এখন বলুন, আপনি কী অবস্থায় রয়েছেন?

তৎক্ষণাৎ উত্তর এল, আমি ইহকালে যা দেখেছি এখনও যা দেখছি, আপনাদেরও ভাগ্যেও যেন তাই হয়।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)- পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

আরো পড়তে পারেন...

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…