হযরত যায়িদ (রাঃ) -৭পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত জায়িদ (রাঃ)-এর মধ্যে ইলম ও দ্বীনের পূর্ণতার সঙ্গে প্রশাসনিক যোগ্যতাও ছিল। তাঁর ওপর খলীফা উমার (রাঃ)-এর এতখানি আস্থা ছিল যে, যখনই তিনি মদিনার বাইরে সফরে যেতেন, তাঁকেই স্থলাভিষিক্ত করে যেতেন। খলীফা উসমান (রাঃ) ও একই পন্থা অনুসরণ করতেন।
ইবনে উমার থেকে বর্ণনা এসেছে—
“উমার (রাঃ) যখন হজ্জে যেতেন, যায়িদকে স্থলাভিষিক্ত করতেন। উসমান (রাঃ) ও একইভাবে করতেন।”
হযরত উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালে মোট তিনবার খলীফার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। হিজরী ১৬ ও ১৭ সনে দু’বার।
বালাজুরী বলেন,
“হিজরী ২৩ সনে উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহর (সাঃ)-এর সহধর্মিনীদের সঙ্গে হজ্জ পালন করেন। তখনও যায়িদ ইবন সাবিতকে মদীনায় স্থলাভিষিক্ত করে যান।”
খলীফা উমার (রাঃ) যখন শাম সফর করেন, তখনও যায়িদকে (রাঃ) দায়িত্ব দিয়ে যান। শামে পৌঁছে তিনি যায়িদকে পত্র লেখেন; তাতে যায়িদকে উল্লেখ করা হয় খলীফার নিজের নামের আগেই।
তিনি লেখেন—
“যায়িদ ইবন সাবিতের প্রতি, উমার ইবনুল খাত্তাবের নিকট থেকে।”
হযরত যায়িদ (রাঃ) অত্যন্ত সতর্কতা ও যোগ্যতার সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতেন। হযরত উমার (রাঃ) তাঁর দায়িত্ব পালনে খুশী হতেন এবং ফিরে এসে তাঁকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু না কিছু দান করতেন।
হাদীসে এসেছে, ঈমানের সত্তরটি বেশ শাখা-প্রশাখা আছে। তার মধ্যে আমানদারী বা বিশ্বস্ততা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“যার আমানতদারী নেই, তার ঈমানও নেই।”
হযরত যায়িদ (রাঃ) -৯পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
 
					