হযরত যায়িদ (রাঃ) -১১পর্ব

হযরত যায়িদ (রাঃ) -১০পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শুনে জনগণ শোকাভিভূত হয়ে পড়েন। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) তাঁর মৃত্যুর দিন মন্তব্য করেন—

“আজ হাবরুল উম্মাহ, উম্মাতের ধর্মীয় নেতা চলে গেলেন।”

সালেম ইবন আবদুল্লাহ বলেন,

“যায়িদ ইবন সাবিত যে দিন মারা যান, সেদিন আমরা আবদুল্লাহ ইবন উমারের (রাঃ) সঙ্গে ছিলাম। আমি বললাম—আজ জনগণের শিক্ষক মারা গেলেন। ইবন উমার (রাঃ) বললেন—আল্লাহ তাঁকে রহম করুন।”

উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তিনি জনগণের শিক্ষক ও হাবর (ধর্মীয় নেতা) ছিলেন।

প্রখ্যাত তাবেঈ ইবনুল মুসায়্যাব বলেন—

“আমি যায়িদ ইবন সাবিতের (রাঃ) জানাযায় শরীক ছিলাম। যখন তাঁকে কবরে নামানো হলো, ইবন আব্বাস (রাঃ) বললেন—‘তোমরা যারা ইলম কিভাবে অর্জন করা যায় তা জানতে চাও, তারা জেনে নাও এভাবেই ইলম চলে যায়। আজ বহু ইলম চলে গেছে।’”

অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন—

“আজ অনেক ইলম দাফন হয়ে গেল।”

হাত দিয়ে কবরের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন—

“এভাবে ইলম চলে যায়। একজন মানুষ মারা যায় এবং যদি তা অন্যরা না জানে, তাহলে সে তার জ্ঞান নিয়েই কবরে চলে যায়।”

কবি হাসনাস ইবন সাবিত (রাঃ) একটি শোকগাঁধা রচনা করেছেন। তাঁর একটি পংক্তি নিম্নরূপ—

-হাস্সান ও তার পুত্রের পর কবিতার ছন্দ কে আর রচনা করবে?

বিরাআত, ফারেয়েজ, বিচার ও ফাতাওয়া শাস্ত্রে হযরত যায়িদ (রাঃ) ছিলেন একজন বিশেষজ্ঞ। পবিত্র কুরআনের ভাষায় তিনি রাসখ ফিল ইলম (জ্ঞানে সুগভীর) হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ), যাকে সাহাবাদের মধ্যে ইলমের সাগর গণ্য করা হতো, তিনিও হযরত যায়িদকে রাসেখ ফিল ইলম হিসেবে গণ্য করতেন।

হযরত যায়িদ (রাঃ) -১২পর্ব -পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!