হযরত যাকারিয়া (আঃ) – শেষ পর্ব

আল্লাহ তাঁকে নিমোক্ত আয়াতের মাধ্যমে তাঁর দোয়া কবুলের সুসংবাদ দান করলেন-

فَنَادَتْهُ الْمَلَائِكَةُ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ أَنَّ اللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحْيَىٰ مُصَدِّقًا بِكَلِمَةٍ مِّنَ اللَّهِ وَسَيِّدًا وَحَصُورًا وَنَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ

অর্থঃ অনন্তর তিন যখন মেহরাবে নামায পড়ছিলেন তখন ফেরেশতা তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন যে, আল্লাহ পাক আপনাকে ইয়াহইয়া সম্পর্কে সুসংবাদ প্রদান করছেন। তাঁর অবস্থা এমন হবে যে, তিনি ঈসা (আঃ)-এর নবুয়তের সাক্ষ্য দানকারী এবং দ্বীনের অনুসারী হবেন। নিজকে ভোগ বিলাস হতে মুক্ত রাখবেন। তিনি নবী এবং উচ্চ পর্যায়ের সুসত্য হবেন। (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৩৯)

এ সংবাদ পেয়ে হযরত যাকারিয়া (আঃ) চিন্তিত হয়ে পড়লেন তাঁর স্ত্রীর বয়স যদিও সন্তান প্রসব করার নয়। কিন্তু আল্লাহ যখন সংবাদ দিয়েছেন তখন তো অবশ্যই সন্তান হবে। তবে কি অবস্থায় হবে তা জানার জন্য তিনি ব্যকুল হয়ে পড়লেন। তাই তিনি এ বিষয়ের সমাধান পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন- কোরআনের ভাষায়-

قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَقَدْ بَلَغَنِيَ الْكِبَرُ وَامْرَأَتِي عَاقِرٌ

অর্থঃ হে আমার রব! আমার কিভাবে সন্তান হবে অথচ আমি অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি আর আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত- ৪০)

আল্লাহ ইরশাদ করেন- قَالَ كَذَ‌ٰلِكَ اللَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ

অর্থঃ আল্লাহ পাক বলেন, এ অবস্থায়ই সন্তান হবে। কেননা আল্লাহ যা চান তা করে থাকেন। (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৪০)

হযরত যাকারিয়া (আঃ) আল্লাহ পাকের সমীপে সন্তান জন্ম হওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে নিদর্শনও চাইলেন যেন নিদর্শন পাওয়ার পর তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন। আল্লাহ পাক তাঁর এ আবেদনও মঞ্জুর করলেন এবং তাঁকে এক নিদর্শন প্রদান করলেন যে, তিনি তিনদিন পর্যন্ত কারও সাথে কোন কথা বলতে পারবেন না। তবে যদি কোন প্রয়োজন হয় তবে মাত্র হাত-মাথা প্রভৃতি দ্বারা ইশারা করে বুঝিয়ে দিতে পারবেন। তিনদিন বলা বন্ধ থাকার নিদর্শন দানের পিছনে একটি হিকমত রয়েছে। যেহেতু অন্যের সাথে কথা না বলার মধ্যে মূলত হযরত যাকারিয়া (আঃ)-এর উদ্দেশ্যই পরিপূর্ণতা লাভ করবে। তাই তাঁকে এ নিদর্শন প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনেও এ হিকমতের কথা উল্লেখ করেছেন-

وَاذْكُر رَّبَّكَ كَثِيرًا وَسَبِّحْ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ

অর্থঃ আপনি বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করুন আর সকাল বিকাল তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করুন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।