হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ২য় অংশ

হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এ কথা বলে তুর পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছালেন। আল্লাহ তায়ালার সঙ্গীদের ফেলে রেখে আসার জন্য কৈফিয়ত তলব করলেন। তখন হযরত মুছা (আঃ) বললেন, হে প্রভু! আমি তোমার অধিক সন্তুষ্টি লাভের জন্য সকলের পূর্বে তোমার নিকট পৌঁছে গেছি। এ সময় আল্লাহ তায়ালার হযরত মুছা (আঃ) এর প্রতি অনেক গুলা শরীয়ত আইনের হুকুম  নাজিল করেন। হযরত মুছা (আঃ) তখন বললেন, হে মহান প্রভু!এ গুলা আমাকে লিখিত আকারে দিন যাতে আমি সহজে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হই। হযরত মুছা (আঃ) এর সঙ্গীগন ইতোমধ্যে এসে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান নিলেন। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নিকট বার বার একটা দাবি পেশ করতে লাগলেন সেটা হল তিনি সরাসরি আল্লাহর দর্শন  লাভ করতে চান।

তিনি বার বার একই দাবি তুলেছেন। হে প্রভু! আমি  সরাসরি তোমার দর্শন চাই। আল্লাহ তায়ালা নবীকে বললেন আমার দর্শন লাভ করা তোমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমার নুরের সামান্য তাজাল্লি তোমার সম্মুখে পেশ করব। এই বলে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুছা (আঃ) কে কিছু তাছবীহ পাঠ করার জন্য আদেশ দিলেন। হযরত মুছা (আঃ) তাছবি পাঠ করছিলেন। এমন সময় হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে নবীকে চক্ষু বন্ধ করে মাটির  দিকে তাকাতে আদেশ দিলেন। নবী তার আদেশ পালন করল। তখন পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিজীব ও আরশে মোয়াল্লা তার দৃষ্টি গোচর হল। তিনি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়  করলেন। অতপর তাকে চক্ষু বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকাতে বলা হল। তিনি তখন বেহেস্ত দোজখ ও সকল আম্বিয়াগনের সাক্ষাৎ লাভ করেন। এতদর্শনে তিনি আল্লাহ তায়ালার দরবারে পুরায় শুকরিয়া আদায় করেন এবং বললেন, প্রভু! তোমার বিচিত্র অনেক কিছু আজ দেখলাম। এখন শেষ বারের মত তোমার দর্শন চাই। তখন আল্লাহ তায়ালার হযরত মুছা (আঃ) পাহাড়ের চূড়ার দিকে তাকাতে আদেশ দিলেন। হযরত মুছা (আঃ) সে দিক তাকিয়ে আল্লাহর নুরের তাজাল্লি দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। দীর্ঘ সময় তিনি অজ্ঞান থেকে যখন জ্ঞান ফিরে পেলেন তখন দেখলেন আল্লাহর নুরের তাজ্জালীতে পাহাড় পুড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে এবং তার নিজের শরীর এক প্রকার উজ্জ্বল জ্যোতির আভা লেগে আছে।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।