হযরত মালেক দীনার (রঃ) – পর্ব ৮
হযরত মালেক দীনার (রঃ) – পর্ব ৭ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তাঁর কিছু মূল্যবান উপদেশঃ
১. এ যুগের বন্ধুত্বে রয়েছে কপটতা। প্রত্যেকের বাইরের দিকটি সুন্দর। কিন্তু ভিতরটা বড় বিশ্রী। এমনকি আলেমগণের অন্তরও কলুষিত।
২. দুনিয়ার মোহ ত্যাগ কর। নিজেকে বাঁচাও, অন্যকেও বাঁচার পথ দেখাও।
৩. আল্লাহর ধ্যান-জ্ঞান, সাধনা ও তাঁর কাছে প্রার্থনার চেয়ে পার্থিব বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে যে পছন্দ করে, তার মতো নির্বোধ আর নেই। তার জ্ঞান খুবই অল্প, হৃদয় অন্ধ। তাই তার জীবনই বৃথা।
৪. আল্লাহ পাক হজরত মূসাকে জুতা আর লাঠি দিয়ে বললেন, যান, সারা দুনিয়া ভ্রমণ করুন আর সৃষ্টিজগত থেকে গ্রহণ করুন। যে পর্যন্ত জুতা ক্ষয় না হয় এবং লাঠি ভেঙ্গে না যায়, ততদিন পর্যন্ত আপনি কেবল আমার অবদান ও মাহাত্ম্য সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকুন। এর অর্থ এই যে, আল্লাহ-প্রাপ্তির উদ্দেশ্য নিয়ে ধৈর্য্যের সঙ্গে তাঁর পথে অগ্রসর হোন।
৫. কোন এক ঐশী গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর অনুগামীদের আমি দুটি জিনিস দান করেছি যা ফেরেশতা জিব্রাইল এবং মিকাইলকেও দিই নাই। একটি হল আমার প্রতিশ্রুতি – তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব। আর একটি হল, আমি ওয়াদা করেছি, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
তাওরাতে উল্লেখ রয়েছে, হে সত্যানুসারীগণ! তোমরা পার্থিব জীবনে আমার গুণগান করা দুনিয়ার সর্বাপেক্ষা বড় সম্পদ এবং পরকালের জন্য সেরা নিয়ামত। অন্য এক খোদায়ী গ্রন্থে আছে-আল্লাহ বলেন, যে দুনিয়াকে ভালোবাসে সে দুনিয়াতে আমার ক্ষুদ্র ও নিকৃষ্ট বস্তু লাভ করবে। আর যে মোনাজাত, এবাদত, মোরাকাবা, মোশাহাদার স্বাদ উপভোগ করবে না, আমি তার অন্তর থেকে এবাদতের স্বাদ উঠিয়ে নিয়ে যাই।
৬. যে সব সময় প্রবৃত্তির অনুগত, শয়তান তার কাছে বেশি যাতায়াত করে না। কেননা, সে মনে করে, প্রবৃত্তির আনুগত্যের মাধ্যমেই তার কর্ম সম্পাদিত হয়ে থাকে।
৭. যে তোমার সেবা করছে তার সেবায় সন্তুষ্ট থাক। তাহলেই আখেরাতে মুক্তি পাবে।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া