হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) – পর্ব ২১

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) – পর্ব ২০ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৫২. আপনার আয়ু কত?

উত্তমঃ মাত্র চার বৎসর।

সবাই বিস্ময় প্রকাশ করলে তিনি তার কথার ব্যাখ্যা দেন যে, সত্তর বছর পর্যন্ত তিনি পার্থিব ঝামেলায় জড়িত ছিলেন। মাত্র গত চার বছর ধরে তিনি তার মাবুদকে দেখছেন। অতএব ঐ চার বছর ছাড়া বাকী জীবনকে তিনি আয়ুর মধ্যে গণ্য করেন না।

৫৩. যদি তুমি মন্দ স্বভাবে অভ্যস্ত হও, তাহলে তা পরিবর্তন করে সৎ স্বভাবে অভ্যাস করার চেষ্টা কর।

৫৪. মানুষ কখন সাফল্য অর্জন করে?

উত্তরঃ যখন মানুষ সৃষ্টিজগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নির্জনে দোষ ত্রুটি সম্বন্ধে চিন্তা- ভাবনা করে। এর দ্বারা আল্লাহ্‌র নৈকট্যও লাভ করা যায়।

৫৫. হযরত আহমদ খাজুরাই (রঃ)-এর আক্ষেপ, প্রানপণ ধ্যান-এবাদাত ইত্যাদি করেও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া গেল না। তিনি বলেন, আপনি তো মর্যাদার চরম শিখরে আরোহণ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। অথচ তা হল আল্লাহ্‌র নিজস্ব ব্যাপার। সেটি লাভ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

৫৬. নামাযের খাঁটি ও আসল পরিচয় কি?

উত্তরঃ যার দ্বারা আল্লাহ্‌র দীদার লাভ হয়। তবে তা হওয়া খুবই কঠিন।

৫৭. আরশের প্রকৃত অর্থ কী?

উত্তরঃ আরশ তো আমি নিজেই।

প্রশ্নঃ কুরসী কী?

উত্তরঃ কলমও আমি নিজেই।

প্রশ্নঃ কলম কী?

উত্তমঃ কলমও আমি নিজেই।

এরপর তাঁকে হযরত ইব্রাহীম (আঃ), হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। আর প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি ঐ একই উত্তর দেন।

জবাব শুনে প্রশ্নকর্তা নির্বাক হয়ে গেলে হযরত বায়েজীদ (রঃ) বললেন, আমি নিজেকে আমার প্রভুর মধ্যে বিলীন করে দিয়ে দেখতে পেলাম, সৃষ্টির সকল বস্তু আমার অস্তিত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রঃ) – পর্ব ২২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।