হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) এর একটি কারামত

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)-এর মদিনা সফরের একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদিনা মুনাওয়ারা সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। অনেক ভক্ত ও মুরিদও তাঁর সফরসঙ্গী হলেন।

সফরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটি উটের পিঠে রাখলেন। বোঝার আকার একটু বড় দেখে কিছু লোক বলল, “এত বড় বোঝা প্রাণীর ওপর রাখা বুযুর্গদের শানের খেলাফ, কেননা এতে প্রাণীটির কষ্ট হয়।”

এ কথা শুনে হযরত বায়েজীদ (রহঃ) বললেন, “ভালো করে দেখুন, আমি কি সত্যিই উটের পিঠে বোঝা রেখেছি?”

সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখল যে বোঝা উটের পিঠের উপর নয়, বরং সামান্য উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা আশ্চর্য হয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল।

তিনি ক্ষমা করে দিয়ে বললেন, “আমি এসব কিছু গোপন রাখতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, কিছু মানুষ না বুঝে সমালোচনা শুরু করে দেয়। ফলে তারা গুনাহের ভাগী হয়ে যায়। তখন আমাকে বাধ্য হয়ে তাদের গুনাহ থেকে বাঁচানোর জন্য আসল রহস্য প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু প্রকাশ করতে গিয়েও আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়। কারামতসমূহ দেখে মানুষ এমনভাবে হতবম্ব হয়ে যায় যে, তাদের হুঁশ-আক্ল পর্যন্ত চলে যায়।”

উপদেশ:

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, বুযুর্গরা কারামত প্রকাশে সতর্ক থাকতেন যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়। তাছাড়া সমালোচনা না করে সত্যতা যাচাই করাও আমাদের কর্তব্য।

[সূত্র: হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) ও তাঁর দরগাহ শরীফ, পৃষ্ঠা-১৪৮]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) এর একটি কারামত

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ)-এর মদিনা সফরের একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদিনা মুনাওয়ারা সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। অনেক ভক্ত ও মুরিদও তাঁর সফরসঙ্গী হলেন।

সফরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একটি উটের পিঠে রাখলেন। বোঝার আকার একটু বড় দেখে কিছু লোক বলল, “এত বড় বোঝা প্রাণীর ওপর রাখা বুযুর্গদের শানের খেলাফ, কেননা এতে প্রাণীটির কষ্ট হয়।”

এ কথা শুনে হযরত বায়েজীদ (রহঃ) বললেন, “ভালো করে দেখুন, আমি কি সত্যিই উটের পিঠে বোঝা রেখেছি?”

সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখল যে বোঝা উটের পিঠের উপর নয়, বরং সামান্য উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা আশ্চর্য হয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল।

তিনি ক্ষমা করে দিয়ে বললেন, “আমি এসব কিছু গোপন রাখতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, কিছু মানুষ না বুঝে সমালোচনা শুরু করে দেয়। ফলে তারা গুনাহের ভাগী হয়ে যায়। তখন আমাকে বাধ্য হয়ে তাদের গুনাহ থেকে বাঁচানোর জন্য আসল রহস্য প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু প্রকাশ করতে গিয়েও আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়। কারামতসমূহ দেখে মানুষ এমনভাবে হতবম্ব হয়ে যায় যে, তাদের হুঁশ-আক্ল পর্যন্ত চলে যায়।”

উপদেশ:

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, বুযুর্গরা কারামত প্রকাশে সতর্ক থাকতেন যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়। তাছাড়া সমালোচনা না করে সত্যতা যাচাই করাও আমাদের কর্তব্য।

[সূত্র: হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) ও তাঁর দরগাহ শরীফ, পৃষ্ঠা-১৪৮]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…