হযরত ফোজায়েল ইবনে ইয়াজ (রঃ)-শেষ পর্ব

হযরত ফোজায়েল ইবনে ইয়াজ (রঃ)-৩য় পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ফোজায়েল ইবনে ইয়াজ (রঃ) তাঁর পূর্ব-কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইলেন। এক ইহুদী ছাড়া সবাই তাঁকে ক্ষমা করেছিল। ইহুদী একটি শর্ত দিল। সে বলল, কাছের ঐ পাহাড়গুলোকে উৎখাত করতে পারলে ফোজায়েল (রঃ)-কে সে ক্ষমা করবে। কঠিন শর্ত! খুব বিপদে পড়লেন ফোজায়েল (রঃ)। অবশেষে আল্লাহর নাম স্মরণ করে একদিন পাহাড়ের মাটি সরাতে শুরু করলেন। তওবাকারীকে মদদ দিলেন আল্লাহ। একদিন আচমকা এক ঘূর্ণিঝড়ে পাহাড়গুলি উড়ে গেল।

ইহুদীর বিদ্বেষভাব কেটে গেল। একদিন সে চলে এল ফোজায়েল (রঃ)-এর কাছে। বলল, আমি মনে মনে সংকল্প করেছি, আমার লুন্ঠিত মাল ফেরত না পেলে আমি কখনই ক্ষমা করব না। এখন সেই শপথের কাফফারা দেওয়া উচিত। আপনি এক কাজ করুন। এই টাকার থলি আমি আপনাকে দান করছি। ঐ থেকে আমার লুণ্ঠিত দ্রব্যের বিনিময় মূল্য হিসাবে নিজের হাতে আমাকে দান করুন। তাহলে আমার কাফফারা আদায় হবে এবং আপনাকেও আমি ক্ষমা করে দিব।

ফোজায়েল (রঃ) তাই করলেন। কিন্তু এবার এল নতুন শর্ত। ইহুদীকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে। ফোজায়েল (রঃ) তাও করলেন।

ইহুদী এখন মুসলমান। এবার সে জানাল, তিনি স্বপ্নে বই পড়ে জেনেছেন যে, প্রকৃত তওবাকারীর হাতের ছোয়ায় মাটি সোনা হয়ে যায়। বললেন, আমার ঐ থলের টাকাগুলো ছিল মাটির। আপনি যখন নিজের হাতে সেটি আমাকে দিলেন তখন তা খুলে দেখি, সেগুলো সত্যিই খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এখন আমার কোন সন্দেহ নেই যে, আপনাদের ইসলাম ধর্ম অবশ্যই একটি বিশুদ্ধ ধর্ম।

এই ঘটনার দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেল যে, ফোজায়েল ইবনে ইয়াজ (রঃ) খুবই আন্তরিকভাবে তওবা করে অধ্যাত্ন-জীবনে প্রবেশ করেছেন। আর অনন্ত করূণাময় আল্লাহ সানন্দে তাঁকে তাঁর প্রিয়জন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত ফোজায়েল ইবনে ইয়াজ (রঃ)-প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।