হযরত জাবের (রাঃ) এর পিতার ঋণ পরিশোধ

হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমার পিতা প্রচুর ঋণ করে ইন্তেকাল করেন। আমি পাওনাদারদের বললাম, আপনারা আমার পিতার নিকট পাওনা বাবদ আমার বাগানের সমুদয় খেজুর গ্রহণ করুণ। কিন্তু তারা এ প্রস্তাবে রাজী হল না। কেননা, ঋণের পরিমাণ খেজুর অপেক্ষা অনেক বেশী ছিল।

অবশেষে আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শরণাপন্ন হয়ে আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। আপনি জানেন যে, ওহুদের যুদ্ধে আমার পিতা শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁর জিম্মায় অনেক ঋণ রয়েছে। এক্ষণে পাওনাদাররা তাদের প্রাপ্য নিতে এসেছে। আমার বাসনা হল, এ সময় আপনি সেখানে উপস্থিত থাকুন, ফলে আপনার কারণে তারা হয়ত আমার প্রতি কিছুটা অনুগ্রহ করবে। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, যাও, প্রত্যেক প্রকার আলাদা আলাদা করে স্তুপ কর।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশের পর আমি ফিরে এসে খেজুরের স্তুপ প্রস্তুত করে তাঁকে ডেকে আনলাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখে পাওনাদাররা আরো চটে গেল। এ পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খেজুরের একটি বড় স্তুপের চতুর্দিকে তিনবার চক্কর দিয়ে তাঁর উপর আসন গ্রহণ করে বললেন, পাওনাদারদের আমার নিকট ডেকে আন। তারা নিকটে এসে তিনি স্ব স্ব হস্তে মেপে তাদের ঋণ আদায় করতে লাগলেন। আল্লাহর নবীর কি বিস্ময়কর মু’যিযা; ঐ একইস্তুপ থেকেই আমার পিতার সমুদয় ঋণ পরিশোধ হয়ে গেল। অথচ আমি আশা করেছিলাম- আমার বাগানের সমুদয় খেজুর দ্বারা যদি আমার পিতার ঋণ পরিশোধ হয়ে যায় তবু ভাল।

কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ঋণ পরিমোধের পরও আমার দুটি খেজুরের স্তুপই অবশিষ্ট রয়ে গেল। উপরন্তু আমি দেখতে পেলাম খেজুরের যে স্তুপে বসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঋণদাতাদেরকে খেজুর মেপে দিলেন, সে স্তুপেও একটি খেজুরও হ্রাস পায়নি।

Written By

More From Author

হযরত জাবের (রাঃ) এর পিতার ঋণ পরিশোধ

হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমার পিতা প্রচুর ঋণ করে ইন্তেকাল করেন। আমি পাওনাদারদের বললাম, আপনারা আমার পিতার নিকট পাওনা বাবদ আমার বাগানের সমুদয় খেজুর গ্রহণ করুণ। কিন্তু তারা এ প্রস্তাবে রাজী হল না। কেননা, ঋণের পরিমাণ খেজুর অপেক্ষা অনেক বেশী ছিল।

অবশেষে আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর শরণাপন্ন হয়ে আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। আপনি জানেন যে, ওহুদের যুদ্ধে আমার পিতা শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁর জিম্মায় অনেক ঋণ রয়েছে। এক্ষণে পাওনাদাররা তাদের প্রাপ্য নিতে এসেছে। আমার বাসনা হল, এ সময় আপনি সেখানে উপস্থিত থাকুন, ফলে আপনার কারণে তারা হয়ত আমার প্রতি কিছুটা অনুগ্রহ করবে। জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, যাও, প্রত্যেক প্রকার আলাদা আলাদা করে স্তুপ কর।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশের পর আমি ফিরে এসে খেজুরের স্তুপ প্রস্তুত করে তাঁকে ডেকে আনলাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখে পাওনাদাররা আরো চটে গেল। এ পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খেজুরের একটি বড় স্তুপের চতুর্দিকে তিনবার চক্কর দিয়ে তাঁর উপর আসন গ্রহণ করে বললেন, পাওনাদারদের আমার নিকট ডেকে আন। তারা নিকটে এসে তিনি স্ব স্ব হস্তে মেপে তাদের ঋণ আদায় করতে লাগলেন। আল্লাহর নবীর কি বিস্ময়কর মু’যিযা; ঐ একইস্তুপ থেকেই আমার পিতার সমুদয় ঋণ পরিশোধ হয়ে গেল। অথচ আমি আশা করেছিলাম- আমার বাগানের সমুদয় খেজুর দ্বারা যদি আমার পিতার ঋণ পরিশোধ হয়ে যায় তবু ভাল।

কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবানীতে ঋণ পরিমোধের পরও আমার দুটি খেজুরের স্তুপই অবশিষ্ট রয়ে গেল। উপরন্তু আমি দেখতে পেলাম খেজুরের যে স্তুপে বসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঋণদাতাদেরকে খেজুর মেপে দিলেন, সে স্তুপেও একটি খেজুরও হ্রাস পায়নি।

Written By

More From Author

You May Also Like

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…