হযরত জাফর জালদী (রঃ) – শেষ পর্ব

একদিন স্বপ্নযোগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে তিনি তামাওউফ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তাসাওউফ হল সে অবস্থা- যে অবস্থায় পুরোপুরিভাবে প্রভুত্বের বিকাশ হতে থাকে আর দাসত্বের বিলুপ্তির শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ দাস নিজেকে না দেখে শুধু তাঁর প্রভুকে দেখতে শুরু করে । সে নিজের প্রভুর মধ্যে বিলীন হয়ে যায়।

হযরত জাফর (রঃ) বলতেন-

(১) যদি কোন তাপসকে খুব বেশী খেতে দেখ তো মনে করবে, তাঁর মধ্যে সাধনমার্গের পরিপূর্ণ ঘটেনি।

(২) নিজেকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র মনে করে মুসলমানের সম্মান করাই হল বীরত্বের পরিচয়।

(৩) দ্বীন ও দুনিয়ার সব ফায়দা এক মুহূর্তর ধৈর্য অবলম্বনের দ্বারা হাসিল হয়ে থাকে।

(৪) কোন কিছু পাওয়া যাক বা না যাক। সর্ববস্থায় একই মনোভাব পোষন করাই হল আল্লাহর নির্ভরতাঁর পরিচয়। উপরক্ত না মিললে খুশী থাকা ও মিলনে বিষণ্ণ থাকা চাই।

(৫) ঈমান নষ্ট করে, এমন বস্তু থেকে দূরে থাকাই হল জ্ঞানের নিদর্শন।

(৬) নিজের প্রবৃত্তির উপকারের জন্য চেষ্টা যত্ন করা উচিৎ নয়। বরং দ্বীন ভাইদের কল্যাণের জন্য সচেষ্ট হলে তাই হল সার্থক যত্ন ও চেষ্টা।

(৭) যদি আল্লাহকে পেতে চাও তা হলে সাহস অর্জন কর। কেননা সাহস ছাড়া কখনও আল্লাহ প্রাপ্তির মাহাত্ম্য অর্জন করা যায় না।

(৮) সালেহীনদের আত্মা সর্বদা সততাঁর সঙ্গে উদ্দেশ্য সাধনে রত হয়।

(৯) জাফর জালদীর মাজার রয়েছে শোনিবিয়াতে। এখানে রয়েছে হযরত সাকতী (রঃ) ও হযরত জুনায়েদ (রঃ)-এর মাজার।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত জাফর জালদী (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।