হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-২য় পর্ব

হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হুদহুদ বলল, হুজুর আমি অল্প সময়ের জন্য আপনার সিংহাসনের বাইরে গিয়ে দেখি আমার এক জাতি বন্ধু উড়ে যাচ্ছে।  তখন আমি তাকে ডাক দিলাম। সে ডাক শুনে আমার নিকট আসল।  তখন তাঁর দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত ভালবাসার আদান-প্রদান হল।  তাঁর পরে আমি কোথায় থাকি সে কথা জিজ্ঞেস করায় আমি শাহান শাহের দরবারের কথা বলি।  সে আপনার দরবার সম্পর্কে কিছুই জানে না। 

তখন আমি তাকে বললাম, তুমি এখন কোন রাজ্যে বসবাস কর যেখানে শাহান শাহের রাজ্যের খবর অজ্ঞাত। সে বলল, আমি এমন এক রাণীর রাজ্যে বসবাস করি যে অত্যন্ত রুপবতী, দয়াবতী ও আরামপ্রিয়।  তাঁর রাজ্যে যত প্রজা আছে সকলে অতি আরামে জীবন-যাপন করছে।  তাঁর সিংহাসন বিশাল ও অত্যন্ত সৌন্দর্যমণ্ডিত। হিরা, জহরত, পান্না, মুক্তা, ইত্যাদি মূল্যবান পাথর দ্বারা সুসজ্জিত। স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা তৈরি তাঁর দরজা জানালা। আমি বললাম তোমার রাজ্য সম্বন্ধে আমাদের শাহান শাহ বোধ হয় অবগত নন, যদি তিনি অবগত থাকতেন তাহলে তাঁর অধিনতা স্বীকার করে রাণীর রাজ্য পরিচালনা করতে হত।  তখন আমার বন্ধু বলল, চল আমার সাথে আমাদের রাণীর সুন্দর সুসজ্জিত রাজ্যটি একবার দেখে আসবে। 

আমি প্রথমে যেতে চাইলাম না। বন্ধু বলল, শরাহীল দৈত্যের একমাত্র রূপসী কন্যা, সাবা রাজ্যের রাণী- বিলকিস বেগমকে একবার দেখে এস। তিনি কতটা রুপের রাণী এবং কত শান্তির অধিকারিনী তা না দেখলে অনুমান করতে পারবে না। আমি এ ধরনের প্রশংসা শুনে বন্ধুর সাথে রওয়ানা করলাম।  দীর্ঘ সময় পথ চলার পরে সাবা রাজ্যের রাজধানীতে এসে পৌঁছে গেলাম। সেখানে পৌঁছে রাজমহলে এক দেয়ালের উপর বসলাম।  

হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।