হযরত ছালেহ (আঃ) এর মুযিযা

পাষাণ পর্বতের উষ্ট্রী
সিরিয়ার আদিবাসি “আদ সম্প্রদায়” বিধাতার বিরুদ্ধাচারণে লিপ্ত হলে তিনি তাদেরকে ঐশি শাস্তি প্রদানে পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্যে মুছে দেন। তাদের ধ্বংসের পর সামুদ সম্প্রদায় তাদের পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। সেখানে তারা বিলাস বহুল প্রাসাদ নির্মাণ করে। ঐশ্বর্য ও শক্রির নেশা এমনি জিনিস যে, একজনের ধ্বংস্তুপের উপর অন্যজন স্বীয় প্রাসাদ নির্মাণ করে এবং প্রথম জনের ইতিবৃত্ত সম্পূর্ণ রুপে বিস্মৃত হয়ে যায়। সামুদ সম্প্রদায় আল্লাহ্‌ পরকালের নূন্যতম বিশ্বাসও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলে শিরক ও মূর্তি পূজার আত্মনিয়োগ করে। মহান প্রভু তাদের সৎ পথ প্রদর্শনের জন্যে হযরত ছালেহ (আঃ) কে পয়গম্বর রুপে প্রেরণ করেন। তিনি আপন জাতিকে সে আহ্বানই করেন, যা প্রত্যেক নবীরা করেছেন। তার সম্প্রদায় আহ্বান সাড়া না দিয়ে বরং তাকে জব্দ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর কাছে এক দুঃসাধ্য বস্তু প্রকাশ করে দেখানোর দাবী জানাল। তারা তাদের বসতীর পার্শ্বে অবস্থিত কাতেবা পর্বত হতে একটি অন্তঃসত্তা, সবল ও সুঠাম উষ্ঠ্রী বের করে দেখানোর দাবী জানাল। তিনি তাদের দাবী শুনে বললেন, যদি আমি তোমাদের দাবী পূরণ করি, তবে কি তোমরা আমার প্রতি ঈমান আনবে? তারা বলল, হ্যাঁ। অতঃপর হযরত ছালেহ (আঃ) দু’রাকায়াত নামায পড়ে মহান প্রভুর দরবারে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে প্রার্থনা করলেন, হে পরওয়ারদিগার, আপনার জন্য কোন কাজই কঠিন নয়। আর যেহেতু তারা ঈমান আনার অঙ্গীকার করেছে তাই আপনি তাদের দাবী পূরণ করে দিন। তাঁর প্রার্থনার সাথে সাথে কাতেবা পর্বতের গায়ে স্পন্দন শুরু হয়ে যায়। এবং একটি বিশাল শিলা খন্ড বিস্ফোরিত হয়ে ভেতর থেকে তাদের দাবীর অনুরূপ একটি স্বাস্থ্যবতী উটনী বের হয়ে আসে এবং তৎক্ষণাৎ একটি বাচ্ছাও প্রসব করে।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।