হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৫

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৪ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ছাত্রজীবন ও অধ্যবসায়ঃ “যে ব্যক্তি এলমে দ্বীন হাসিলের উদ্দেশ্যে বের হয়, ফিরে আসার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ্‌র পথেই থাকে।”

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-সেই সময়ে দ্বীন অর্জনের নিমিত্ত ঘরবাড়ী পরিত্যাগ করলেন। প্রথমে তিনি সমরকান্দ গমন করলেন। সে সময় সমরকন্দ ও বোখরা ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত ছিল। বড় বড় মোহাদ্দেছ, ফকীহ, দার্শনিক ও চিন্তাশীল পন্ডিতগণ সেখানে বাস করতেন। খাজা সাহেব প্রথমে কোরআন শরীফ হেফয করলেন। অতঃপর তাফসীর, হাদীছ, ফেকা, ওসূল মানতেক ইত্যাদি বিষয় অধ্যায়ন করলেন। তখনকার দিনে সাধারনতঃ মানুষের স্মৃতিশক্তি প্রখর ছিল। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) এর স্মৃতিশক্তি ছিল তার চাইতেও প্রখর। কোরআন শরীফ হেফয করতে তার মাত্র গুটি কয়েক দিন সময় ব্যয়িত হয়েছিল। তাফসীর হাদীস ইত্যাদি শিক্ষা করতেও তার খুব বেশী দিন লাগে নাই। বিশেষতঃ দুনিয়ার পিছনে তার কোন আকর্ষন ছিল না বলিয়া একনিষ্ঠ ভাবে তিনি সাধনা করতে পেরেছিলেন এবং এর ফলেই শিক্ষাক্ষেত্রে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি প্রচুর দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

যাহেরী বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করেও তার তৃষ্ণাতুর মনের জ্ঞান-পিপাসা নিবৃত্ত হইল না। আধ্যাত্ম জগতের বিশেষ জ্ঞান অর্জনের আকাঙ্ক্ষা তাকে স্বস্তির বিশ্বাস ফেলতে দিল না। তিনি বোখরা পরিত্যাগ করে আবার নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করলেন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৬ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!