হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ২

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ রূহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-সাহেবের জন্ম হয় সিস্তানের গনজর পল্লীতে। ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায়, তার পিতা খাজা গিয়াসুদ্দীন ছিলেন একাধারে খোদাভক্ত আবেদ এবং বিত্তশালী ব্যক্তি। তিনি সর্বদা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযারী জীবন যাপন করতে চেষ্টা করতেন। সুতরাং খাজা সাহেব বাল্যকালে অত্যন্ত যত্ন ও স্নেহের সাথে প্রতিপালিত হয়ে ছিলেন হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি সানজায়ী (রঃ)। পবিত্র আরবের সুবিখ্যাত কুরাইশ বংশদ্ভুত হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহুর নিন্মতর বংশধর ছিলেন। ইতিহাস পাঠে জানা যায়, তিনি মাতৃ বংশসূত্র ও পিতৃ বংশসূত্র উভয় দিক দিয়াই সত্যের সৈনিক শেরে খোদার সহিত ওতপোতভাবে জড়িত ছিলেন। সত্যের সেনানী হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-এর জন্ম সাল ও তারিখ সম্বন্ধেও সুসাহিত্যিক লেখকদের মধ্যে বেশ মত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

১. সিয়ারুল আকতারের লেখকদের মতে সত্যের অগ্রনায়ক হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)- এর জন্মসাল হল ৫৩৭ হিজরী সালের ১৪ই রজব সোমবারকে মনোনয়ন করছেন, এবং তিনি এ কথা বলেছেন যে সুফীকুলের শিরোমণি ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রনায়ক খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) উক্ত তারিখেই ধরাধামে আগমন করেছেন।

২. অন্যদিকে খাজা সাহেবের জন্মসাল ও তারিখ সম্বন্ধে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সাজিনাতুন আসফিয়ার-এর লেখক উল্লেখ করেছেন যে আলেম কুলের শিরোমণি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-হিজরি ৫৩০ সনের ১৪ই রজব সোমবার সোবহে সাদিকের সময় এ ধরাধামে আগমন করেছেন। উক্ত আলোচনা হতে অনুধাবন করা যেতে পারে যে, উভয় লেখকেই দুইটি বিষয়ে একমত এবং একটি বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেছেন। সে বিষয়দ্বয়ে তারা একমত প্রকাশ করেছেন তাহা হল ১৪ই রজব এবং সোমবার। কিন্তু সনের ক্ষেত্রে উভয় এমন মত পোষণ করেছেন যে এখন দুই মতের মধ্যে সাত বছরের ব্যবধান রয়েছে। তবে খাজা গরীব নেওয়াজ (রঃ) যে কোন সালেই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামী ঝাণ্ডাকে সমুন্নত করবার জন্য তিন যে অবদান রেখে গেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণক্ষারে লিখা থাকবে।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

ছোটগল্প: কেনাবেচা দরদাম — মাহবুব আলী

১. পোড়া চোখ, সে কিছু দেখেনি। দেখেও কিছু দেখেনি। বুঝেও কিছু বোঝেনি। বুড়ি মানুষ। সবকিছুতে…

রোমান সেনাপতি মাহানের তাঁবুতে খালিদ বিন ওয়ালিদ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ইয়ারমুকের যুদ্ধ তখনও শুরু হয়নি। সম্রাট হেরাক্লিয়াসের প্রধান সেনাপতি মাহানের অধীনে কয়েক লক্ষ সৈন্য সম্পূর্ণ…

উবাদা ইবনে সামিতের শপথ রক্ষা—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

খলীফা উমার (লা) শাসনকাল। মুয়াবিয়া তখন সিরিয়অর শাসনকর্তা। মদীনার খাযরাজ গোত্রের হযরত উবাদা ইবন সামিত…

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ২

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ রূহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-সাহেবের জন্ম হয় সিস্তানের গনজর পল্লীতে। ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায়, তার পিতা খাজা গিয়াসুদ্দীন ছিলেন একাধারে খোদাভক্ত আবেদ এবং বিত্তশালী ব্যক্তি। তিনি সর্বদা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযারী জীবন যাপন করতে চেষ্টা করতেন। সুতরাং খাজা সাহেব বাল্যকালে অত্যন্ত যত্ন ও স্নেহের সাথে প্রতিপালিত হয়ে ছিলেন হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি সানজায়ী (রঃ)। পবিত্র আরবের সুবিখ্যাত কুরাইশ বংশদ্ভুত হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহুর নিন্মতর বংশধর ছিলেন। ইতিহাস পাঠে জানা যায়, তিনি মাতৃ বংশসূত্র ও পিতৃ বংশসূত্র উভয় দিক দিয়াই সত্যের সৈনিক শেরে খোদার সহিত ওতপোতভাবে জড়িত ছিলেন। সত্যের সেনানী হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-এর জন্ম সাল ও তারিখ সম্বন্ধেও সুসাহিত্যিক লেখকদের মধ্যে বেশ মত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

১. সিয়ারুল আকতারের লেখকদের মতে সত্যের অগ্রনায়ক হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)- এর জন্মসাল হল ৫৩৭ হিজরী সালের ১৪ই রজব সোমবারকে মনোনয়ন করছেন, এবং তিনি এ কথা বলেছেন যে সুফীকুলের শিরোমণি ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রনায়ক খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) উক্ত তারিখেই ধরাধামে আগমন করেছেন।

২. অন্যদিকে খাজা সাহেবের জন্মসাল ও তারিখ সম্বন্ধে প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সাজিনাতুন আসফিয়ার-এর লেখক উল্লেখ করেছেন যে আলেম কুলের শিরোমণি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ)-হিজরি ৫৩০ সনের ১৪ই রজব সোমবার সোবহে সাদিকের সময় এ ধরাধামে আগমন করেছেন। উক্ত আলোচনা হতে অনুধাবন করা যেতে পারে যে, উভয় লেখকেই দুইটি বিষয়ে একমত এবং একটি বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেছেন। সে বিষয়দ্বয়ে তারা একমত প্রকাশ করেছেন তাহা হল ১৪ই রজব এবং সোমবার। কিন্তু সনের ক্ষেত্রে উভয় এমন মত পোষণ করেছেন যে এখন দুই মতের মধ্যে সাত বছরের ব্যবধান রয়েছে। তবে খাজা গরীব নেওয়াজ (রঃ) যে কোন সালেই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলামী ঝাণ্ডাকে সমুন্নত করবার জন্য তিন যে অবদান রেখে গেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণক্ষারে লিখা থাকবে।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, লেখক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক।…

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

মাতৃভক্তি

রংধনু আসরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই কবি কালিদাস রায় তার ‘মাতৃভক্তি’ কবিতাটি পড়েছো। এ কবিতায়…