হযরত ওমর (রাঃ)-এর প্রাথমিক পর্যায়
খাত্তাব একজন সম্পদশালী ব্যক্তি ছিলেন। খাত্তাবের অনেকগুলো উট ছিল। ওমর একটু বড় হওয়ার পরই উটগুলোর দায়িত্ব তাঁর উপরে পড়ে। উট নিয়ে তিনি চলে যেতেন অনেক দূরে জাজনান নামক স্থানে। মাথার উপরে আগুনের মত রোধ, সে রোদেই হযরত ওমর (রাঃ) উটগুলো কে নিয়ে মাঠে যেত হত। সমস্ত দিন মাঠে মাঠে উট চরানোর পরে রাতে তাঁকে পড়তে বসতে হত বই নিয়ে। অনেক রাত অবধি তাঁকে পাঠ অভ্যাস করতে হত। আস্তে আস্তে হযরত ওমর (রাঃ) বড় হতে লাগলেন।
তীর আর বর্শা নিক্ষেপে তিনি বিশেষ দক্ষ হয়ে উঠলেন। কুস্তিগীর হিসাবেও তিনি সমাজে পরিচিত হলেন। আরাফাত ময়দানের কাছে প্রতি বছর ওকাজের নাম করা এক মেলা বসত। সে মেলাতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসের প্রদর্শণী হত। দেশের গুনী ও শিল্পীরা এখানে জমায়েত হত। হযরত ওমর (রাঃ) কোকিল কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করতে পারতেন এবং বক্তৃতা দিতে পারতেন।
এ সময়ে সমগ্র কুরাইশ বংশে কেবল সতের জন মাত্র লেখাপড়া জানতেন। হযরত ওমর (রাঃ) ছিলেন সে সতের জনের মধ্যে একজন। হযরত ওমর (রাঃ) যুবক হয়ে উঠলেন। এবার তাঁকে উপার্জনে মন দিতে হল। তাঁর পিতার আমল হতে যে ব্যবসা ছিল সেটাই তিনি অবলম্বন করলেন। এ বানিজ্য উপলক্ষ্যে সিরিয়া (শাম) প্রভৃতি দেশে তাঁকে যেতে হত। বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করে তিনি অল্প দিনেই আরব দেশের জনসমাজে পরিচিত হয়ে উঠলেন।