হযরত উমর রা.-এর যামানায় কাদেসিয়ার যুদ্ধের পর বিপুল পরিমাণ গনিমত হাতে এলো। পরিমাণ এতো বেশী ছিলো যে, উমর রা. সবার মাঝে আনুপাতিক হারে বণ্টন করার পরও আরো অনেক বাকি ছিলো। এবার আমীরুল মুমিনীন যারা যুদ্ধে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছে তাঁদের ডেকে কিছু কিছু করে তাঁদেরকেও দিলেন। এভাবে দিতে দিতে এক পর্যায়ে হাফেযে কুরআনদের ডাকলেন। হাফেযে কুরআনদের সাথে দু‘জন এমন ব্যক্তিও এলেন যাদের ব্যপারে ওমর রা. নিশ্চিত ছিলেন তারা হাফেযে কুরআন নয়।
:
উমর রা. তাদের একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কতটুকু হিফয করেছো? (সবাই নিরব তাদের জবাব শুনার জন্য।)
: আমীরুল মুমিনীন ! আমি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম হিফয করেছি।
অপর জনকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কতোটুকু?
হুযুর ! আমি হাফেয হওয়ার নিয়ত করেছি। উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। উমর রা. বললেন, যেহেতু তোমরা পূর্ণ কুরআনের হাফেয নও তাই তোমরা অতিরিক্ত বোনাস পাবে না।
:
দৃশ্যপট-[দুই]
:
চারিদিকে উলামায়ে দেওবন্দের দবদবা চলছে। উপমহাদেশে ইসলামের এমন কোনো শো‘বা নেই যেখানে তারা সফলতার স্বাক্ষর রাখেননি। দলীল চতুষ্ঠয় অর্থাৎ কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা- ক্বিয়াসের আলোকে সব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান করে যাচ্ছেন। আইম্মায়ে আরবা‘আর অনুকরণে সব কাজ পরিচালনা করছেন।
:
আর আইম্মায়ে আরবা‘আ যাঁরা ছিলেন তাঁদের সামনে আল্লাহর রাসূলের সকল হাদিস উপস্থিত ছিলো। তাঁরাও যাচাই বাছাই করে সকল মাসআলার সমাধান করে গেছেন।
:
দীর্ঘ প্রায় ১৩শত বছর পর একদল এসে বলছে আমরা শুধু বুখারী শরীফ মানি আর কিছুই মানি না। [বি.দ্র. ইমাম বুখারী র. কিন্তু সকল হাদিসকে কিংবা সব সহীহ হাদিসকে জমা করার জিম্মাদারী নেন নি।]
সুতরাং যারা শুধুমাত্র বুখারী শরিফের উপর ভিত্তি করে দাবী করেন আমরা পূর্ণ ইসলাম মানি তাদের মাঝে আর হযরত উমরের সামনে যারা “বিসমিল্লাহ“ হিফয করে কুরআনের হাফেয দাবী করেছেন। তাদের উভয়ের কথার মাঝে পার্থক্য কোথায়?
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।