হযরত ইউসুফ (আঃ) এর বংশ ও পরিচয়
হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর পিতার নাম, হযরত ইয়াকুব (আঃ)। তাঁর পিতার নাম ইসহাক (আঃ), তাঁর পিতার নাম হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আঃ)। তাঁরা সকলেই আল্লাহ তায়ালার খাছ নবী ও রাসুলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। দেশ ও জাতিভিত্তিক তাঁরা প্রেরিত হন। হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর আবাসস্থল ছিল সিরিয়া রাজ্যের কেনানে।
হযরত ইয়াকুব (আঃ) দুই মামতো বোনকে বিবাহ করেছিলেন। তখনকার শরীয়াতে দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করার বিধান ছিল। এক বোনের নাম ছিল লিয়া ও অপর বোনের নাম ছিল রাহিলা। লিয়ার গর্ভে হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর ছয়টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তাঁদের নাম রোয়ে, শমুন, লেবী, ইয়াহুদ, এস্তেগফার ও জবুলুন। রাহিলার গর্ভে জন্ম নেই মাত্র দুটি পুত্র সন্তান, হযরত ইউসুফ (আঃ) ও বেনিয়ামিন। রাহিলা ও লিয়া দু’জনের দুটি বাদী ছিল। তাঁরা বাদী দুটিকে হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর খেদমতে বিয়ে দেন। দু’বাদীর ঘরে চারটি পুত্র সন্তান জন্ম নেই। তাঁদের নাম ছিল আন, তফতান, কাদা ও বোসরা। সর্বমোট ইউসুফ (আঃ) এর ভাইয়ের সংখ্যা ছিল এগার।
হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর পাঁচ বছর বয়সে তাঁর ছোট ভাই বেনিয়ামিনের জন্মের সময় তাঁর মাতার ইন্তেকাল হয়। তখন বেনিয়ামিনের প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাঁর খালা বা বিমাতা লিয়া। তিনি অত্যন্ত যত্নসহকারে ও আদর সোহাগ দিয়ে বেনিয়ামিনকে লালন-পালন করেন। তাঁর নিজের সন্তানের চেয়ে অধিক ভালবাসতেন বেনিয়ামিনকে। হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর প্রতি তাঁর যথেষ্ট আকর্ষণ ছিল।
হযরত ইয়াকুব (আঃ) সকল সন্তানের চেয়ে হযরত ইউসুফ (আঃ)-কে অধিক ভালবাসতেন। তাঁকে তিনি কখনই চোখের আড়াল হতে দিতেন না। এ জন্য তাঁর অন্যান্য ভাইয়েরা হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর প্রতি মনে মনে বিদ্বেষ পোষণ করত। হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর প্রতি পিতার আকর্ষণ কিভাবে কমানো যায় তৎপ্রতি তাঁর ভাইয়েরা সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখত এবং নান রকম ফন্দি ফিকিরের আশ্রয় গ্রহণ করত। হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর ভাইদের সকল ষড়যন্ত্র যখন এক এক করে ব্যর্থ
হতে থাকে তখন তাঁরা শেষ কৌশল হিসেবে হযরত ইউসুফ (আঃ)-কে গুম করা অথবা হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী