হযরত ইউনুস (আঃ)-এর স্বীয় কওমের কাছে প্রত্যাবর্তন
হযরত ইউনুস (আঃ) এর দেশ থেকে চলে যাওয়ার পর হতেই তাঁর কওমের লোকেরা তাঁকে খুজে ফিরছিল এবং তাঁকে ফিরে পাবার জন্য আল্লাহর দরবারে রোনাজারী করছিল।
যথাসময়ে আল্লাহর দরবারে তাঁদের রোনাজারী গৃহীত হল। তাঁদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষিত হল, আল্লাহ তাঁদের মনের বাসনা ভালভাবেই জানতেন। এতদিনে তিনি তা পুরা করলেন। হযরত ইউনুস যে নতূন দেশে গিয়েছিলেন সেখান হতে স্বীয় স্ত্রী-পুত্রদ্বয়সহ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলেন।
আল্লাহ পাকের অসীম কুদরত; এক সময় হযরত ইউনুস (আঃ)-এর কথা শুনে তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, পাগল তাঁর উপদেশ ও ওয়াজ নসীহতকে পাগলের প্রলাপ বলত। তাঁর দেশত্যাগের পর আল্লাহ প্রদত্ত আযাবের সূচনা দেখে তারা তাঁর অবর্তমানেই দ্বীন কবূল করে তাঁর কথার গুরুত্ব ও নবুয়তের সত্যতা বুঝতে পেরে তাঁকে অবর্তমানেই দ্বীন কবূল করে তাঁর কথার গুরুত্ব ও নবুয়তের সত্যতা বুঝতে পেরে তাঁকে নিজেদের মাঝে পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়ছিল।
এখন তাঁকে পুনরায় নিজেদের মধ্যে ফিরে পাবার আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ল। তখন তিনি তাঁদেরকে যা বলেন-দ্বীন, আল্লাহ, নবী কল্যান-অকল্যাণ শরীয়তের নিয়ম পদ্ধতি যা কিছু শিক্ষা দেন সকল কিছুই তারা মনে প্রাণে গ্রহণ করল এবং তাঁকে প্রকৃতপক্ষে তাঁদের কল্যানে ও মঙ্গল লাভের পথের দিশারী হিসাবে মনে নিন।
হযরত ইউনুস (আঃ) স্বদেশে তাঁর কওমের কাছে প্রত্যাবর্তনের পর আরও একত্রিশ বছর জীবিত ছিলেন এবং স্বজাতীর মধ্যে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হিদায়াত জারী রেখে একশত এগার বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছিলেন।