হযরত আহমদ সাওয়ারী (রঃ) – শেষ পর্ব

হযরত আহমদ (রঃ) বলতেন, মানুষ যতক্ষণ না মনে-প্রাণে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর তওবা কবুল হয় না নিজের সাধনায় পরিশ্রম না করা পর্যন্ত সে অন্যায়-অপরাধ থেকে মুক্তি পায় না। আর এ দুটি ছাড়া মনের পরিবর্তন ও উন্নতি হয় না যখন সাধকের মনের পরিবর্তন হয় তখন অন্তরে ত্যাগ ও সত্যনিষ্ঠার ভাব জন্মে।

নির্ভরতা যখন দৃঢ় হয়, তখন মারেফত জ্ঞানও উদয় হয়। আর তখন প্রেমরসের প্রকৃত আস্বাদ পাওয়া যায়। তারপর লজ্জার উৎপত্তি হয়। তারপর মনে আল্লাহর ভয় জন্মে। আর ঐ ভয় কোন অবস্থায়ই সাধকের মন থেকে দূর হয় না। যার ফলে আল্লাহর দীদার লাভ সম্ভব নয়।

তিনি যা বলতেনঃ

১। তিনি আরও বলতেন, যিনি আল্লাহ সম্বন্ধে বেশী জ্ঞান আয়ত্ত করেন, তিনিই সেরা জ্ঞানী।

২। আল্লাহ পাকের রহমতের আশাই ধর্মভীরুর পোশাক। আল্লাহর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় যে সময় অতিবাহিত হয়, তার দুঃখে বান্দা কাঁদে। আর এ কান্নাই সেরা কান্না।

৩। পৃথিবী একটি কসাইখানা, তা কুকুরদের সমবেত হওয়ার স্থান। পার্থিব ধন-সম্পদ উপার্জনে যে সর্বদা লিপ্ত, সে কুকুরেরও অধম। কেননা, কুকুরের পেট ভর্তি হলে সে কসাইখানা থেকে বিদায় নিয়ে আবাসস্থালে ফিরে যায়। আর মানুষ যতই পার্থিব উন্নতি করে, ততই সেকিকে আকৃষ্ট হয়।

৪। হৃদয়ের কাঠিন্য ও আল্লাহর প্রতি ওদাসীন্য অপেক্ষা কোন নিকৃষ্ট ব্যাধি আল্লাহ মানুষকে দেননি।

৫। পরিচিত হওয়ার জন্য যে সৎকর্ম করে সে মুশরিক। আর আল্লাহর খুশীর জন্য যে এবাদত করে, সে কখনও অন্যের খুশী চাইতে পারে না। যেহেতু সে নিজে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তার এবাদত দেখুক, এরুপ ইচ্ছাও করে না।

৬। যিনি হেদায়াতের অনুসরণ করেন, তার ওপর শান্তি সুনিশ্চিত।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আহমদ সাওয়ারী (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হযরত আহমদ সাওয়ারী (রঃ) – শেষ পর্ব

হযরত আহমদ (রঃ) বলতেন, মানুষ যতক্ষণ না মনে-প্রাণে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর তওবা কবুল হয় না নিজের সাধনায় পরিশ্রম না করা পর্যন্ত সে অন্যায়-অপরাধ থেকে মুক্তি পায় না। আর এ দুটি ছাড়া মনের পরিবর্তন ও উন্নতি হয় না যখন সাধকের মনের পরিবর্তন হয় তখন অন্তরে ত্যাগ ও সত্যনিষ্ঠার ভাব জন্মে।

নির্ভরতা যখন দৃঢ় হয়, তখন মারেফত জ্ঞানও উদয় হয়। আর তখন প্রেমরসের প্রকৃত আস্বাদ পাওয়া যায়। তারপর লজ্জার উৎপত্তি হয়। তারপর মনে আল্লাহর ভয় জন্মে। আর ঐ ভয় কোন অবস্থায়ই সাধকের মন থেকে দূর হয় না। যার ফলে আল্লাহর দীদার লাভ সম্ভব নয়।

তিনি যা বলতেনঃ

১। তিনি আরও বলতেন, যিনি আল্লাহ সম্বন্ধে বেশী জ্ঞান আয়ত্ত করেন, তিনিই সেরা জ্ঞানী।

২। আল্লাহ পাকের রহমতের আশাই ধর্মভীরুর পোশাক। আল্লাহর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় যে সময় অতিবাহিত হয়, তার দুঃখে বান্দা কাঁদে। আর এ কান্নাই সেরা কান্না।

৩। পৃথিবী একটি কসাইখানা, তা কুকুরদের সমবেত হওয়ার স্থান। পার্থিব ধন-সম্পদ উপার্জনে যে সর্বদা লিপ্ত, সে কুকুরেরও অধম। কেননা, কুকুরের পেট ভর্তি হলে সে কসাইখানা থেকে বিদায় নিয়ে আবাসস্থালে ফিরে যায়। আর মানুষ যতই পার্থিব উন্নতি করে, ততই সেকিকে আকৃষ্ট হয়।

৪। হৃদয়ের কাঠিন্য ও আল্লাহর প্রতি ওদাসীন্য অপেক্ষা কোন নিকৃষ্ট ব্যাধি আল্লাহ মানুষকে দেননি।

৫। পরিচিত হওয়ার জন্য যে সৎকর্ম করে সে মুশরিক। আর আল্লাহর খুশীর জন্য যে এবাদত করে, সে কখনও অন্যের খুশী চাইতে পারে না। যেহেতু সে নিজে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তার এবাদত দেখুক, এরুপ ইচ্ছাও করে না।

৬। যিনি হেদায়াতের অনুসরণ করেন, তার ওপর শান্তি সুনিশ্চিত।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আহমদ সাওয়ারী (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…