হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – শেষ পর্ব

হযরত আমর (রাঃ) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহন পূর্বক বাড়িতে ফিরিয়া আসিলাম। অতঃপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম হিজরত করিয়া মদীনায় চলিয়া গেলেন। আমি খবরাখবর সংগ্রহ করিতে থাকিলাম। ইতিমধ্যে ইয়াসরার অর্থাৎ মদীনা হইতে এক কাফেলা আগমন করিল। আমি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম, মক্কা হইতে যে মক্কী লোকটি তোমাদের নিকট আগমন করিয়াছেন, তাঁহার কি খবর? তাহারা বলিল, তাঁহার ও কওমের মাঝে আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য অন্তরায় হইয়া গিয়াছে। আর আমরা লোকজনকে তাঁহার প্রতি দ্রুত ঝুঁকিতেছে দেখিয়া আসিয়াছি। হযরত আমর (রাঃ) বলেন, (এই খবর পাইয়া) আমি আমার বাহনে আরোহন করিয়া মদীনায় আসিয়া উঠিলাম। আমি তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাকে চিনিতে পারিয়াছেন কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, মক্কায় আমার নিকট আসিয়াছিলে, তুমি সেই ব্যক্তি নও কি? আমি বলিলাম, জ্বী হ্যাঁ। তারপর বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি জানিনা এমন যাহা কিছু আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে শিক্ষা দিয়াছেন তাহা হইতে আমাকে শিক্ষা দান করুন। অতঃপর বর্ণনাকারী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

আবু উমামাহ (রাঃ) হইতে অপর এক রেওয়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) বলিয়াছেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে কি দিয়া প্রেরণ করিয়াছেন? তিনি বলিলেন,আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই পয়গম দিয়া প্রেরণ করিয়াছেন যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, পরস্পর রক্তপাত বন্ধ করা হয়, পথঘাট নিরাপদ করা হয়, মূর্তিসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলা হয় এবং এক আল্লাহর এবাদত করা হয়, তাঁহার সহিত কাহাকেও অংশীদার করা না হয়।

আমি বলিলাম, তিনি অতি উত্তম পয়গম দিয়া আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন। আমি আপনাকে সাক্ষী রাখিয়া বলিতেছি যে, আমি আপনার প্রতি ঈমান আনিলাম এবং আপনাকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিলাম। আমি কি এখন আপনার সহিত অবস্থান করিব, না আমাকে অন্য কোন আদেশ করিবেন? তিনি বলিলেন, তুমি তো দেখিতে পাইতেছ যে, আমি যাহা লইয়া আসিয়াছি লোকেরা তাহা পছন্দ করিতেছে না। সুতরাং তুমি এখন তোমার পরিবারের নিকট অবস্থান কর। যখন শুনিবে, আমি আমার হিজরতের স্থানে পৌছিয়া গিয়াছি তখন আমার নিকট চলিয়া আসিবে।  (আহমদ)

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – শেষ পর্ব

হযরত আমর (রাঃ) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহন পূর্বক বাড়িতে ফিরিয়া আসিলাম। অতঃপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম হিজরত করিয়া মদীনায় চলিয়া গেলেন। আমি খবরাখবর সংগ্রহ করিতে থাকিলাম। ইতিমধ্যে ইয়াসরার অর্থাৎ মদীনা হইতে এক কাফেলা আগমন করিল। আমি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলাম, মক্কা হইতে যে মক্কী লোকটি তোমাদের নিকট আগমন করিয়াছেন, তাঁহার কি খবর? তাহারা বলিল, তাঁহার ও কওমের মাঝে আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্য অন্তরায় হইয়া গিয়াছে। আর আমরা লোকজনকে তাঁহার প্রতি দ্রুত ঝুঁকিতেছে দেখিয়া আসিয়াছি। হযরত আমর (রাঃ) বলেন, (এই খবর পাইয়া) আমি আমার বাহনে আরোহন করিয়া মদীনায় আসিয়া উঠিলাম। আমি তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাকে চিনিতে পারিয়াছেন কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, মক্কায় আমার নিকট আসিয়াছিলে, তুমি সেই ব্যক্তি নও কি? আমি বলিলাম, জ্বী হ্যাঁ। তারপর বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি জানিনা এমন যাহা কিছু আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে শিক্ষা দিয়াছেন তাহা হইতে আমাকে শিক্ষা দান করুন। অতঃপর বর্ণনাকারী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

আবু উমামাহ (রাঃ) হইতে অপর এক রেওয়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) বলিয়াছেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে কি দিয়া প্রেরণ করিয়াছেন? তিনি বলিলেন,আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে এই পয়গম দিয়া প্রেরণ করিয়াছেন যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, পরস্পর রক্তপাত বন্ধ করা হয়, পথঘাট নিরাপদ করা হয়, মূর্তিসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলা হয় এবং এক আল্লাহর এবাদত করা হয়, তাঁহার সহিত কাহাকেও অংশীদার করা না হয়।

আমি বলিলাম, তিনি অতি উত্তম পয়গম দিয়া আপনাকে প্রেরণ করিয়াছেন। আমি আপনাকে সাক্ষী রাখিয়া বলিতেছি যে, আমি আপনার প্রতি ঈমান আনিলাম এবং আপনাকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিলাম। আমি কি এখন আপনার সহিত অবস্থান করিব, না আমাকে অন্য কোন আদেশ করিবেন? তিনি বলিলেন, তুমি তো দেখিতে পাইতেছ যে, আমি যাহা লইয়া আসিয়াছি লোকেরা তাহা পছন্দ করিতেছে না। সুতরাং তুমি এখন তোমার পরিবারের নিকট অবস্থান কর। যখন শুনিবে, আমি আমার হিজরতের স্থানে পৌছিয়া গিয়াছি তখন আমার নিকট চলিয়া আসিবে।  (আহমদ)

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, লেখক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক।…

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

মাতৃভক্তি

রংধনু আসরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই কবি কালিদাস রায় তার ‘মাতৃভক্তি’ কবিতাটি পড়েছো। এ কবিতায়…