একবার বড় পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এক ব্যক্তির নিকট অপর এক ব্যক্তির কিছু গচ্ছিত তৈজসপত্র দেয়ার জন্য আবদার করল। তিনি বললেন- আমি ঐ ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া কেমন করে তার নিকট প্রদান করবো? এই বিষয়ে আপনার নিকট ফতোয়া জিজ্ঞেস করলে আপনিও এটাকে নাজায়েজ বলবেন।
এ ঘটনার কিছুদিন পরেই ঐ দ্রব্য সামগ্রীর মালিক তাকে পত্র লিখে জানল যে, তোমার নিকট গচ্ছিত আমানত হযরত আব্দুল কাদির জিলানীর হাওয়ালা করে দাও। তার মাধ্যমে ঐ সম্পদ দরবেশদেরকে দান করা হল। এ পত্র পাওয়ার সাথে সাথে সে ঐ আমানত হযরত জিলানী (রহঃ) এর প্রতি হাওয়ালা করে দিলেন। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে লোকটিকে বললেন, এমন একটি সামান্য বিষয়ে তুমি আমাকে অবিশ্বাস করলে?
ইয়ামেনের অধিকাংশ শায়েখ হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) এর সাথে সম্পর্ক রাখতেন। তবে কোন কোন শায়েখ হযরত আবু মাদীনের সাথে সম্পর্ক রাখতেন। হযরত মাদীন (রহঃ) ছিলেন পাশ্চাত্যের শায়েখ এবং আব্দুল কাদির জিলানী ছিলেন প্রাচ্যের শায়েখ। আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বলেন-
“এশক ও ভালোবাসার কোন মিষ্টি জলাধার নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমি অতি সুস্বাদু এবং উত্তম বস্তু পেয়েছি। অথবা দুনিয়াতে এশকের বিশেষ কোন মর্যাদা নেই। কিন্তু আমি উত্তম মর্যাদা পেয়েছি। সময় তার উত্তম ও উজ্জ্বল অংশ আমাকে দান করেছে। তা দ্বারা ঐ জলাধারা এবং তাতে ঘাটের সৌন্দর্যের বৃদ্ধি ঘটেছে। আমি এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত যার কোন প্রকার ভয়ভীতি নেই। সময়ের বিবর্তনে তারা কোন ভীতিপ্রদ বস্তু দেখবে না। তারা এমন ব্যক্তি, সকল নেক কাজেই যার কিংবা যাদের অংশ রয়েছে। আমি মিষ্টি কন্ঠের বুলবুলি এবং পৃথিবীর শাখা-প্রশাখা আমার গানের সুর ভরে উঠেছে আর দ্রুত গমনে আমি যেন শিকারী ঘোড়া”।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।