হযরত আবু হাফস হাদ্দাদ খোরাসানী (রঃ) – শেষ পর্ব
হযরত আবু হাফস হাদ্দাদ খোরাসানী (রঃ) – পর্ব ৬ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
৭. দুনিয়া এমন নিকৃষ্ট স্থান যে, প্রতি মুহূর্তে মানুষকে নিত্যনতুন পাপে জড়িয়ে ফেলে।
৮. যিনি প্রবৃত্তির পবিত্রতা ও সরলতার প্রত্যাশী, তিনিই আল্লাহর ওলী।
৯. আল্লাহভীতি অন্তরের প্রদীপ সদৃশ। এই প্রদীপের আলোতে অন্তরের দোষগুণ দেখা যায়।
১০. দান গ্রহণ অপেক্ষা দান করা যে শ্রেয় মনে করে না, সে সাধনা মার্গের পথিক নয়।
১১. যিনি দান করে তার প্রতিদান গ্রহণ করেন না, তিনি প্রকৃত পুরুষ। আর যিনি দান করে তার প্রতিদান গ্রহণ করেন তিনি অর্ধ পুরুষ। আর যিনি দান করেন না, কেবল দান গ্রহণ করেন, তিনি আদৌ পুরুষের মধ্যে গণ্য নন।
১২. যে কাজে আল্লাহর দীদার লাভ করা যায়, তার চর্চা করাই দরবেশের একমাত্র লক্ষ্য।
১৩. প্রকাশ্য এবাদতে আনন্দ হয়, কিন্তু এর দ্বারা অহঙ্কার আসে। কেননা, এবাদত করাতেই মনে আনন্দ আসে যে, সে অন্যের অপেক্ষা অগ্রগামী। আর অহঙ্কারী লোক ছাড়া কেউ নিজ কাজে আনন্দিত হতে পারে না।
১৪. আল্লাহ পাকের নাফরমানী কুফরীর হুল তুল্য। যেমন মৃত্যু হুল বিষ।
১৫. বিশুদ্ধ বৈধ খাদ্যেই শুধু ধার্মিকতা নিহিত।
১৬. কুরআন-হাদিসের অনুসরণ করাই হল প্রকৃত সাধনার লক্ষণ।
১৭. মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে নিজের পাপরাশির কথা মনে করে অনুশোচনার মনকে একেবারে গলিয়ে ফেলা অবশ্য কর্তব্য।
১৮. নিজের মন যে আল্লাহকে সমর্পণ করতে চায়, তার উচিত দরবেশ- তাপসদের সাহচর্য অবলম্বন করা।
১৯. আল্লাহ প্রেমিকের বড় লক্ষণ হল, তিনি মৃত্যুকালে আনন্দ অনুভব করেন।
হযরত মহমশ (রঃ) বলেন, তিনি বাইশ বছর ধরে হযরত হাফস (রঃ)-এর সান্নিধ্যে ছিলেন। কিন্তু কোনদিন তাঁকে অলস অবস্থায় আমাদের মতো আল্লাহকে স্মরণ করতে দেখেননি। বরং তিনি যখনই আল্লাহকে স্মরণ করতেন, তখন তা করতেন পরম ভক্তিশ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে। তখন তাঁর মধ্যে এমন ভাবন্তর সৃষ্টি হত যে, উপস্থিত লোকগণ তাঁকে দেখে এক বাহ্য বিস্মৃত ভাবতন্মায় লোক বলে মনে করত।
আপনি কী উদ্দেশ্যে আল্লাহর দিকে এভাবে ফিরলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে হযরত হাফস (রঃ) জানান, একজন গরীব একজন ধনীর নিকট কী উদ্দেশ্যে গমন করে?
আবদুল্লাহ মুসলামী ছিলেন, হযরত হাফস (রঃ)-এর এক পরম ভক্ত মৃত্যুর পূর্বে বলে যান, আমার মৃত্যুর পর হযরত আবু হাফসের (রঃ) পায়ের ওপর আমার মাথাটি যেন রেখে দেওয়া হয়।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত আবু হাফস হাদ্দাদ খোরাসানী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন