হযরত আবু বকর ওয়াসেতী (রঃ) – শেষ পর্ব
হযরত আবু বকর ওয়াসেতী (রঃ) – পর্ব ৫ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
(৬৮) তুমি যে পর্যন্ত মনে করবে যে, তুমি আল্লাহর সঙ্গে আছ, সে পর্যন্ত শিরক ও ধ্বংসের মধ্যে রয়েছে বলে মনে করবে। কেননা এর দ্বারা তোমার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়। অথচ তোমার অস্তিত্বের কথা ভুলে যাওয়া চাই।
(৬৯) চল্লিশ বছর অগ্নির উপাসনা করার পর ঈমান কামেল হতে পারে। এ কথার তাৎপর্য ব্যাখা করে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) চল্লিশ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রত্যাদেশ লাভ করতে শুরু করেন। (আল্লাহ আশ্রয় দিন) এর অর্থ এ নয় যে, ঐ চল্লিশ বছর ধরে তাঁর ঈমানই ছিল না। এর অর্থ প্রত্যাদেশ প্রাপ্তির পর তাঁর মধ্যে যে, ঈমানের আর্বিভাব ঘটেছিল, তেমন ঈমান পূর্বে ছিল না।
(৭০) তোমরা করিপুর অনুগত হয়ে আছ। হাদীস অনুসারে ঐ রিপু কাফের। তোমরা যতদিন না কাফিরের কবলমুক্ত হবে, ততদিন পর্যন্ত পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না।
(৭১) কোন কোন লোক মর্যাদায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)–এর চেয়ে উচ্চ পদে আরোহণ করেছেন কি না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাঁর চেয়ে উচ্চ পদে আরোহণ করা তো দূরের কথা, কেউ তাঁর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি। যদি কেউ এরূপ দাবী করে তবে সে কাফির। আওলিয়াদের মর্যাদার সেখানে শেষ সীমা, আম্বিয়াদের মর্যাদার শুরু যেখানে থেকে। আর রাসূলে করীম (সাঃ) হলেন আম্বিয়াদের সেরা ব্যক্তি।
(৭২) সর্বাপেক্ষা সুখ্যাদ্য কি? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি সুধারণা রেখে মারেফাতের দস্তরখান থেকে বিশ্বাসের হাত দ্বারা আল্লাহ পাকের যিকিকের লোকমার স্বাদ দুনিয়ার সকল খানার চেয়ে উত্তম।
অন্তিম মুহূর্তে তিনি বলেন, সব সময় আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আর নিজেদের সময় ও জীবনকালের প্রতি খুব সাবধান থাকবে। অর্থাৎ একটি পলকও যেন বৃথা না যায়। এটিই ছিল তাঁর জীবনের শেষ কথা। এরপরে তাঁর মুখে আর কোন কথা শোনা যায়নি। কথাটি বলেই তিনি শান্ত হয়ে দু’চোখের পাতা বন্ধ করলেন। যে চোখ আর খুলল না।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া