হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) ও তাঁহার সঙ্গীগণের ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করা
হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে কোরাইশের এক কাফেলার মুকাবিলা করিবার জন্য পাঠাইলেন এবং হযরত আবু ওবায়দা ইবনে জাররাহ (রাঃ) কে আমাদের আমীর নিযুক্ত করিয়া দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে রসদ হিসাবে একথলি খেজুর দিলেন। তিনি আমাদিগকে দিবার মত এই এক থলি খেজুর ব্যতীত আর কিছুই পান নাই। হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) প্রত্যেককে একটি করিয়া খেজুর দিতেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি হযরত জাবের (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলাম, একটি মাত্র খেজুর দিয়া আপনারা কি করিতেন? তিনি বলিলেন, আমরা শিশুর দুধ চোষার ন্যায় উহা চুষিয়া পানি পান করিয়া লইতাম। এইভাবে সকাল হইতে রাত পর্যন্ত আমাদের জন্য তাহা যথেষ্ট হইয়া যাইত। আমরা লাঠি দ্বারা গাছের পাতা পাড়িয়া লইতাম এবং উহা পানিতে ভিজাইয়া খাইতাম। (বিদায়াহ)
ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম বুখারী ও মুসলিম (রঃ) সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও এই রেওয়াত বর্ণনা করিয়াছেন। তাহাদের রেওয়াতে ইহাও বর্ণিত আছে যে, এই সফরে সাহাবা (রাঃ)দের সংখ্যা তিনশত জন ছিল। ইমাম তাবারানী হইতে বর্ণিত রেওয়াতে তাহাদের সংখ্যা ছয়শত ছিল বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন।
ইমাম মালেক (রঃ) এর রেওয়াতে ইহাও বর্ণিত হইয়াছে যে, বর্ণনাকারী হযরত জাবের (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলেন, এই এক খেজুর দ্বারা কি হইত? তিনি উত্তরে বলিলেন, যখন তাহাও শেষ হইয়া গেল তখন আমরা উহার মূল্য উপলব্ধি করিতে পারিলাম।