হযরত আবু আলী আহমদ ইবনে মুহাম্মদ রোদবারী (রঃ) – পর্ব ১

আধ্যাত্মিক জগতের এক অনন্য পুরুষ হলেন আবু আলী আহমদ (রঃ)। তাঁর ধ্যানমগ্নতা পর্বতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তত্ত্ব জ্ঞানে তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল অপরিসীম। এবাদতে অলৌকিক সম্পদে তিনি ছিলেন উচ্চ পর্যায়ের এক সিদ্ধ সাধক। আবার সাধকদের পথ প্রদর্শকও ছিলেন তিনি। হযরত জুনায়েদ (রঃ) এবং হযরত আবুল হাসান নূরী (রঃ)-এর কাছ থেকে তরীকতের বরকত লাভ করেন। তিনি তাপস নগরী বাগদাদেরই লোক। তবে বেশী দিন বাস করেছেন মিশরে। ৩২৮ হিজরীতে মিশরেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এক দরবেশের মৃত্যু হলে তাঁর ইচ্ছা হল, দাফনকালে তিনি তাঁর কপালে কিছু মাটি মাখিয়ে দেবেন। তাঁর মুখের এই বিকৃতি দেখে আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়াপরবশ হবেন। কিন্তু তিনি যখন কপালে মাটি মাখাতে গেলেন তখন দেখলেন, দরবেশের চোখ দুটি হঠাৎ খুলে গেল। দরবেশ বললেন, যে প্রভু আমাকে এমন মর্যাদা দিয়েছেন তাঁর সামনে আপনি আমার অসম্মান করছেন। হযরত আবু আলী আহমদ (রঃ) তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, মৃত্যুর পর সঙ্গে সঙ্গে কি জীবন ফিরে আসে? দরবেশ বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর বন্ধুগণ সব সময় জীবিত থাকেন। তিনি আরও বললেন, রোজ কিয়ামতে আমি যদি আল্লাহর দরবারে সম্মান লাভ করি, তাহলে আপনাকেও আমি সাহায্য করব।

কিছুদিন তাঁর এমন অবস্থা হয় যে, ওযু করার পর মনে হত, হয়ত তাঁর অপবিত্রতা রয়ে গেল। তিনি আবার ওযু করতেন। এভাবে একদিন যূর্য ওঠার আগে এক দুই করে এগারো বার ওযু করলেন। কিন্তু সন্দেহ গেল না। এদিক সূর্য উঠে গেল। তখন অনুতপ্ত হৃদয়ে বললেন, মনের অস্থিরতার জন্য আপনার এবাদত থেকে বঞ্চিত হলাম প্রভু। আপনি আমার স্থিরতা ফিরিয়ে দিন। তখন এল অদৃশ্য কন্ঠর আওয়াজঃ শুনতে পেলেন, এ তোমার মূর্খতা, জ্ঞান লাভ কর। জ্ঞানের রয়েছে শান্তি। তিনি সর্বদাই বলতেন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত আবু আলী আহমদ ইবনে মুহাম্মদ রোদবারী (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।