হযরত আদম (আঃ) এর কাহিনী-এর প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অতঃপর রুহকে আদম (আঃ)-এর শরীরে প্রবৃষ্ট হতে বলা হয় । সে বলল, হে রাব্বুল আলামিন, আমি আদম (আঃ) এর রুহ নুরের তৈরি আর এ শরীরটা মাটির তৈরি এর মধ্যে আমি কিভাবে থাকব । আল্লাহ বললেন, নূরে মোহাম্মাদীর উজ্জ্বলতায় এ মাটির শরীর ও উহার রক্ত মাংস সব কিছু নূরে পরিণত হবে । এরপর আদম (আঃ) এর মাথার উপর রেখে দেওয়া হল । তখন তাঁর মস্তিষ্ক ও জ্ঞানবুদ্ধির বিকাশ ঘটল । অতপর জিব্রাইলকে বলা তাঁর শরীরের সব কার্যক্রম গুলোকে বিন্যাস করে দাও । তখন জিবরাইল (আঃ) তাঁর শিরা, উপশিরা, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও ধমনীর কার্যগুলো এক এক করে পরিচালনা করে দিলেন । হযরত আদম (আঃ) তাঁর শরীরের সব ক্রিয়া সঞ্চালিত ও অঙ্গের কার্জকারিতা পরিপূর্ণভাবে লাভ করতে পেরে সম্মুখে হাঁটার চেষ্টা করলেন, ফেরেস্তারা তাকে বাঁধা দিলেন । তাঁরা বললেন, তোমার শরীর এখন পর্যন্ত নরম । অতএব ক্ষণিক বিশ্রাম কর । শরীরটা ঠিক হলে যথা ইচ্ছা গমন করতে পারবে ।
হযরত আদম (আঃ) শরীরের পরিপূর্ণতা লাভ করে প্রথমে একটি হাচি দিলেন এবং পাঠ করলেন, “আলহামদুলিল্লাহ্” এটিই হযরত আদম (আঃ) -এর জীবনের প্রথম বাক্য । আল্লাহ তায়ালা এ সময় বললেন “ইয়ার হামুকুমুল্লাহ” । পরবর্তী সময় মুসলমানদের জন্য হাচির পরে আলহামদুলিল্লাহ্ বলা এবং শ্রোতাদের ইয়ার হামুকুমুল্লাহ বলা সুন্নাত হিসেবে গণ্য হয় ।
হযরত আদম (আঃ) -এর জীবন লাভ করার অনুষ্ঠানে জমিন আসমানের সকল ফেরেস্তা হর্ষোৎফুল্ল মনে হাজির ছিলেন । আজাজিলকে সেখানে ডাকা হল । হযরত আদম (আঃ) নিজ অস্তিত্ব লাভের শুকরিয়া হিসেবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন । ফেরেশতাগণের সকলেই আদম (আঃ) -এর সাথে নামাজ আদায় করলেন ।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত আদম (আঃ) এর কাহিনী-এর পূর্বের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।