হযরত আছিয়া রাঃ এর বাল্য জীবন
মোজাহাম দম্পতিকে আল্লাহ তায়ালা পুত্র দান করলেন না ঠিকই, তবে যে অপূর্ব সুন্দরী কন্যাটিকে দিলেন, তা দেখে তার জনক-জন্নীর চক্ষু জড়িয়ে গেল। এমন সুন্দর শিশু কেউ কোনদিন দেখে নেই, কেউ কোনদিন কম্পনাও করে নাই।
শিশুর গঠন ও সৌন্দর্যের কথা পাড়া-প্রতিবেশীগণ শুনতে পেয়ে দেখার জন্য ছুটে আসল। দেখে সকলেই বলল, শিশুর জনক-জননী সত্যই ভাগ্যবান। সাত পুরুষের পুণ্যের ফলেই এমন সন্তান হয়। বেশী সন্তানের প্রয়োজন কি, একটি সন্তান লাভ করেই এদের জীবন ধন্য হয়েছে।
দিন যেতে লাগল। একটু একটু করে কন্যা আছিয়াও বড় হতে লাগলেন। পিতা ধার্মিক তদুপরি বিদ্বান। মাতাও বিদুষী এবং বুদ্ধমতী ও পরম ধার্মিকা। অতএব তাঁদের একমাত্র আদরের সন্তানকে তাঁরা মনের মত গড়ে তুলতে লাগলেন। কন্যার মুখে বাক্যস্ফুরণ শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে মাতা পিতা দু’জনেই তাঁকে শিক্ষা দীক্ষা প্রদান আরম্ভ করে দিলেন।
শিক্ষা দানের ভার নিলেন জনক এবং চরিত্র গঠনের দায়িত্ব নিলেন জননী। ফলে দু’জনের চেষ্টা যত্নে বালিকা আছিয়া শিক্ষা-দীক্ষা, চরিত্র এবং জ্ঞান বুদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে লাগলেন। সঙ্গে সঙ্গে ধার্মিক পিতা ও ধার্মিক মাতার তত্বাবধানে তিনি ধর্মজ্ঞানেও বিভুষিতা হলেন। পিতা মোজাহাম তাঁকে বাল্যকালেই কয়েকখানি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়ন করিয়ে ধর্ম বিষয়ে গভীর জ্ঞান দান করলেন। ফলে অতি অল্প বয়সেই তিনি ধর্মের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্টা হয়ে পড়লেন।
বালিকা আছিয়ার সৌন্দর্য এবং রূপের প্রচার পূর্বেই হয়েছিল। এবার তাঁর গুণের সুনামও দেশময় ছড়িয়ে পড়ল। কন্যা-গর্বে এবার তাঁর জনক জননীর বক্ষ ভরে গেল।