একবার এক ব্যক্তি আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর (রা.)-এর কাছে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে আসলেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। হঠাৎ ভেতর থেকে তিনি শুনতে পেলেন, হযরত ওমর (রা.)-এর স্ত্রী ওনাকে কিছু কথা শোনাচ্ছেন, আর ওমর (রা.) চুপচাপ বসে আছেন, কোনো জবাব দিচ্ছেন না।
এটা দেখে লোকটি মনে মনে ভাবলেন, ওমর (রা.) তো এত কঠোর স্বভাবের মানুষ, আবার তিনি আমিরুল মুমিনীনও। যদি তাঁরই এই অবস্থা হয়, তাহলে আমার কী-ই বা করার আছে! তাই তিনি চুপচাপ ফিরে যেতে লাগলেন।
ঠিক সেই মুহূর্তে হযরত ওমর (রা.) বাইরে এলেন এবং লোকটিকে দেখে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, “হে ভাই! কী দরকারে এসেছ?”
লোকটি বললেন, “হে আমিরুল মুমিনীন! আমি আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম। সে আমাকে খুব জ্বালায়। কিন্তু আপনার স্ত্রীর অবস্থা দেখে ফিরে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম, যখন আপনার এই অবস্থা, তখন আমার আর কী বলার আছে!”
তখন হযরত ওমর (রা.) হাসিমুখে বললেন, “ভাই! আমি এসব ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করি, কারণ আমার ওপর তার অনেক হক (অধিকার) রয়েছে। সে আমাকে রান্না করে খাওয়ায়, আমার কাপড় ধুয়ে দেয়, আমার সন্তানকে দুধ পান করায়— অথচ এসবের কোনো কিছুই তার জন্য ফরজ নয়। তাছাড়া, তারই কারণে আমি হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকি।”
লোকটি বললেন, “আমার স্ত্রীও তো আমাকে এসব কাজে সহায়তা করে!”
তখন হযরত ওমর (রা.) বললেন, “তাহলে ধৈর্য ধারণ করো, ভাই! দুনিয়ার জীবন তো মাত্র কয়েক দিনের!”
