স্বর্গ এবং নরকের গল্প

[আমি তখন নটরডেম কলেজের ছাত্র। দেশের সেরা কলেজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে খ্যাত। দেশের সেরা সেরা ছাত্রদের মাঝে নিজেকে কখনো কখনো ভীষণ অসহায় মনে হতো। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করলাম এই সেরা ছাত্রগুলোর সিংহভাগই আমারই মতন অতি সাধারন আর লুকিয়ে লুকিয়ে ওরা আমারই মত ‘মাসুদ রানা’ আর ‘রিডার্স ডাইজেষ্ট’ পড়ে আর কলেজ ক্যান্টিনে বসে ক্যাপস্টেন বা ষ্টার সিগারেট ফুঁকে। দিব্যি করে বলতে পারি চেক করা হলে প্রায় সবারই কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে এগুলোর মধ্যে অন্ততঃ দুটা হয়তো পাওয়া যেতোই। পরবর্তীতে বাংলা ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ অবশ্য রিডার্স ডাইজেষ্টের প্রচার সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল।
তখনকার রিডার্স ডাইজেষ্টে (সম্ভবতঃ হংকং থেকে ছাপা হতো)পড়া কয়েকটি ঘটনা বা গল্প আজও স্মৃতিপটে উজ্জ্বল হয়ে আছে। স্মৃতিপট থেকে নেয়া কিছু গল্প এগুলো…]
টাইম মেশিনে চরে একদল তরুন তরুনী স্বর্গ এবং নরক ভ্রমনে বের হলো।
অবাক বিস্ময়ে তারা লক্ষ্য করলো স্বর্গবাসী আর নরকবাসী সবার জন্যই থরে থরে সাজানো একই ধরনের রুচিকর সব খাবার, একই ধরনের টেবিলচেয়ার, একই ধরনের অতি লম্বা চামচ যা কিনা তাদের হাতের চাইতেও অনেক লম্বা।
হাতের চাইতেও চামচ অনেক বড় হওয়ায় এবং চামচের ব্যবহার এবং হাতলের শেষপ্রান্তে ধরার বাধ্যবাধকতা থাকায় নরকবাসীদের কেউ আর খেতে পারলোনা।
হাতের চাইতেও চামচ অনেক বড় হওয়া সত্ত্বেও এবং চামচের ব্যবহার এবং হাতলের শেষপ্রান্তে ধরার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও স্বর্গবাসীদের সব্বাই পেট ভরে খেয়ে উঠে পরলো। তবে পারস্পরিক সহযোগিতা মুলক মনোভাবের কারনে, এক্ষেত্রে তারা একজন আরেকজনকে খাইয়ে দিয়েছে।
পারস্পরিক সহযোগিতায় অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়। গানের ভাষায় বলতে হয়.. মানুষ মানুষের জন্য..জীবন জীবনের জন্য…

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!