সেই রাতে

ঘটনাটা আমার এক বড় ভাইয়ের মুখ থেকে শোনা।। সত্যি বলতেছি এজন্যে যে, কারণ আমি বিশ্বাস করি, উনি একজন শক্ত মনের মানুষ এবং উনি যা দেখেছেন তা ঠিক দেখেছেন।। ঘটনাটা এরকম।।

উনার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।। পরীক্ষার পর ছুটিতে উনি উনার মামাবাড়ি খুলনায় যাবেন।। উনি সিলেট থেকে রওনা দিয়ে রাত সাড়ে নটায় খুলনা পৌঁছান।। শহর থেকে উনার মামাবাড়ি যাওয়ার রাস্তায় যাওয়ার পথে প্রায় ১০ মিনিটের মত।। টিলার মাঝখান দিয়ে যেতে হয়।।

রাতে তিনি কোন রিকশা না পেয়ে একাই হাঁটতে রওনা হন।। একটু জায়গা যাওয়ার পর উনি উনার একটু সামনে একজন বৃদ্ধ লোককে দেখতে পান।। সামনে একজন লোক দেখায় উনি ভাবেন যে, উনার সাথে কথা বলে উনার মামাবাড়ি পর্যন্ত চলে যাবেন।। তাই উনি উনার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিয়ে লোকটিকে ধরতে চান।।

কিন্তু লোকটিও তার হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয় এবং একটু পর রাস্তার একটি মোড় পার হয়ে গায়েব হয়ে যায়।। তখন তিনি ঐ মোড়ের কাছে এসে দেখেন যে, সামনে ঐ লোকটি নেই, এবং সামনে অনেকটা সরু রাস্তা যা একজন বৃদ্ধ লোকের পক্ষে এত তাড়াতাড়ি পেরোনো সম্ভব নয়।।

তাহলে উনি এদিক ওদিক তাকিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখেন, লোকটি উনার ঠিক পেছনে এবং উনার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে।। লোকটি কিছুটা ভাসমান অবস্থায় ছিল, আর চোখটা খুবই ভীতিকর ছিল।।

উনার পিছনে লোকটিকে এভাবে দেখে উনি অজ্ঞান হয়ে ঐখানেই পড়ে যান।। কিছুক্ষণ পর একদল লোক এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে উনাকে এভাবে পেয়ে উনার মামার বাড়ি পৌঁছে দেয়।।

একটি বাড়ি এবং কিছুকথা

গোরস্থানের বধূ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *