সুন্দর সে দেশটা!

আন্দোলনে যোগ দিয়ে যারা দেশের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তারা নিজেদের গ্রেফতার হওয়াকে একটা গর্বের বিষয় মনে করে। শত অপমানেও তাদের কিছু যায় আসে না।

আফগান থেকে একজন কাবুলীওয়ালা আমাদের দেশে বেড়াতে এসেছিল। এক মিষ্টির দোকানদার মিষ্টি সামনে নিয়ে বসে আছে অথচ খাচ্ছে না এ অবস্থা দেখে কাবলিওয়ালা নিজেই দুই হাতে মিষ্টি মুখে পুরতে লাগলো। দোকানদার ছুটে এসে তাকে ধরলো। লোকটি কাবলী ভাষায় বলতে লাগল, “মিষ্টি নিজেও খাও না আবার অন্যকেও মিষ্টি দেতে দাও না, এ কেমন ধরনের মানুষ তুমি?”

কিন্তু মিষ্টির দোকানদার কাবলিওয়ালার ভাষা বোঝে না। সে হৈ চৈ করতে লাগলো। অনেক লোক জমা হয়ে পড়লো। সাবাই তাকে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল।

পুলিশ দেখলো, লোকটি একজন বিদেশী। এদের ভাষা এবং আচার আচরণ সে কিছুই বোঝে না। সুতরাং এ ছোট ব্যাপারে তাকে হাজতে চালান দেওয়া উচিৎ হবে না। বরং লোকটিকে মাথা ন্যাড়া করে একটি গাধার পিঠে বসিয়ে সারা শহর ঘোরাতে হবে। ছেলের দল পিছনে ঢোলোক বাজিয়ে মিষ্টি চোর বলে প্রচার করবে।

সুতরাং বিপুল আয়োজনে ছেলের দল এরুপই করলো।

কাবলিওয়ালা যখন দেশে ফিরে গেল তখন সবাই তাকে  দেখতে আসলো বল ভাই, দেশ ভ্রমন কেমন হলো?

কাবলিওয়ালা বলল, খুব ভাল দেশ। সেখানে বিনা পয়সায় মিষ্টি, বিয়া পয়সায় চুল কাটা, বিয়া পয়সায় গাধার পীঠে ভ্রমণ, বিনা পয়সায় ছেলেদের বাহিনী আর  বিনা পয়সায় ঢোলের বাজনা বাজিয়ে সম্বর্ধনার আয়োজন করে। সুন্দর সে দেশ।

সুতরাং গ্রফতার হওয়ার পর যাদের লজ্জা হয় না তাদের আসলে জ্ঞান কমে গেছে। চিন্তা করে দেখে না তাদের পরিমাণ কি হবে। দেশের চিন্তা করার আগে নিজের ঈমান রক্ষার চিন্তা করতে হবে। 

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।