সুদ ও ঘুষখোরের কবরের আযাব
২৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪১১ হিজরীর ঘটনা। এক পুলিশ অফিসার মারা গেল। তাঁর লাশ কবরে দেওয়ার জন্য নেয়া হল। লাশ যখন কবরে নামানো হল, তখন দেখা গেল সে কবর সংকীর্ণ হয়ে গেছে। কোনভাবেই লাশ কবরে নামানো যাচ্ছে না। মৃতের আত্মীয়-স্বজন মনে করল, কবর খননকারীরা ঠিকমত কবর খনন করেনি। অন্য আরেক স্থানে নতুন কবর খনন করা হল। লাশ যখন দ্বিতীয়বার কবরে নামানো হল, দেখা গেল এটাও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। উপস্থিত লোকজন ভয়ে ভীত হয়ে গেল। তৃতীয় কবরেও এ সমস্যা দেখা দিল। কবর সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে, লাশ প্রবেশ করানো সম্ভব হচ্ছে না।
অবশেষে জানাজায় শরীক সবাই মিলে আল্লাহ তায়ালার দরবারে তার গুনাহ মাফির জন্য মুনাজাত করে কান্না-কাটি করল। চতুর্থ কবরে যখন তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিল। তাকে কবর দেওয়ার পর কবর সংকীর্ণ তো হলোই সাথে সাথে লাশটি উপরে ফেলে দিল। এরপর উপস্থিত লোকজন তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জিজ্ঞাসা করল ঘটনা কি? কবর লাশ গ্রহণ করছে না কেন? তাদের কথায় এটা বুঝা গেল যে, পুলিশ অফিসার ঘুষ খেত। যার বাস্তব শাস্তি আল্লাহ তায়ালা সবার সামনে দেখিয়ে দিলেন। তার পরবর্তীতে কি কি শাস্তি হয় তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন।
হযরত সাইয়্যেদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সমাজের প্রধান এবং বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন পেয়েছে, কিয়ামতের দিন তার হাত দুটি গর্দানের সাথে বাঁধা থাকবে। সে যদি ঘুষখোর না তাহলে তাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর যদি মানুষের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে বিচারের রায় দিয়ে থাকে। তাহলে থাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে এবং পাঁচ বছরের রাস্তার সমান গর্তের ভিতর গিয়ে পড়বে।
ভারতের হায়দারাবাদ এলাকায় একটি ঘটনা। এক ব্যক্তির লাশ কবরস্থানে নেওয়া হল, ইমাম সাহেব যখনই জানাজা নামাজের নিয়ত বাঁধলেন, লাশ উঠে বসে গেল। মানুষ তো ভয়ে হয়রান। ইমাম সাহেব মৃতের স্বজনদের জিজ্ঞাসা করলেন যে, এ লোক কি সুদের কারবার করত? স্বজনরা হ্যাঁ সূচক জবাব দিল। এ কথা শুনে ইমাম সাহেব জানাজা পড়াতে অস্বীকার করলেন। এরপর লাশ কবরে রাখা হল, কবর মাটির গভীরে দেবে গেল। ভয়ে মানুষজন কোন মতে কবরে মাটি দিয়ে ফিরে গেল।