সিরিয়ার জনৈক পাদ্রীর সাক্ষাৎ

নবীজীর বার বছর বয়সে আবু তালেব ব্যবসার উদ্দেশ্যে শাম দেশের (সিরিয়ার) সফরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল। সফর একটি নিতান্ত কষ্টদায়ক কার্য বিধায় আবু তালেব ভ্রাতুষ্পুত্রকে সঙ্গে না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যাওয়ার সময় যখন ঘর হতে বের হলেন, তখন রাসূল (সাঃ) চাচাকে জড়িয়ে ধরে স্নেহশক্তি কণ্ঠে বলতে লাগলেন, ওহে চাচাজান! আমি আপনার স্নেহ কোলে থেকে মাতা পিতার স্নেহকে ভুলে গিয়েছি।

আমি, মা হারা, বাপ হারা, দাদা হারা হয়ে আপনার স্নেহ যত্নে ছিলাম, এখন আমাকে আপনি কার নিকট রেখে যান। আমি আপনাকে ছাড়া কি করে থাকব। ভাতিজার ক্রন্দনে আবু তালেবের প্রাণ কেঁদে উঠল। তিনি ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে যান। আবু তালেব তাঁকে নিয়ে সিরিয়ার পথে বসরা শহরে অবতরণ করলেন। সেখানে বুহায়রা পাদ্রীর সঙ্গে দেখা হল। পাদ্রী দূর হতে লক্ষ্য করে দেখল, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মাথার উপর একখণ্ড মেঘ ছায়া প্রদান করে আসতেছে। যখন তিনি কাফেলা সহকারে একটি বৃক্ষের নিচে বসলেন তখন গাছের ডালগুলি জড় হয়ে তাঁকে ছায়া দিচ্ছে এবং তাঁর প্রতি নত হয়ে আছে। এটা দেখে পাদ্রী বলল, হে আবু তালেব! আপনি তাঁকে নিয়ে সিরিয়া যাবেন না। তিনি শেষ জামানার পয়গম্বর। কারণ সেখানে অনেক ইহুদী আছে। তারা তাঁর পরিচয় পেলে, তাঁর প্রতি নির্যাতন চালাবে।

আপনি তাকে নিয়ে স্বদেশে ফেরত যান। বুহায়রা একটি ভোজসভার আয়োজন করে কাফেলার সকলকে দাওয়াত করল এবং নবীজীকে অনেক প্রকার প্রশ্ন করল। প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তরেই সে তাঁর নবুয়তের প্রমাণ দেখতে পেল এবং তাঁর পৃষ্টদেশে মোহরে নবুয়ত দেখতে পান। চাচা আবু তালেব অতি অল্প সময়ের মধ্যে তেজারতের কাজ সম্পন্ন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!