সামুদ জাতির নবী সালেহ (আঃ)-৫ম পর্ব

সামুদ জাতির নবী সালেহ (আঃ)-৪ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বেঁচে গেলেন সালেহ এবং তাঁর সাথীরা।
তারা হজরত সালেহ- কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলো যে রাতে, সে রাতেই মহান আল্লাহ্‌ তাঁদের ধ্বংস করে দিলেন। সে ধ্বংস থেকে আল্লাহ্‌ পাক হজরত সালে এবং তাঁর সাথীদের রক্ষা করেছিলেন। তাঁদের নিরাপদে বাঁচিয়ে রাখলেন। মহান আল্লাহ্‌ বলেন-

“অতঃপর যখন ওদের ধ্বংস হবার নির্দিষ্ট সময়টি আসলো, তখন আমরা সালেহ এবং তাঁর সাথী যারা ঈমান এনেছিল, তাঁদেরকে আমাদের বিশেষ রহমতের দ্বারা রক্ষা করলাম। সেদিনকার লাঞ্ছনা থেকে নিরাপদ রাখলাম। নিশ্চয়ই তোমার প্রভু দুর্দান্ত ক্ষমতার অধিকারী এবং মহাপরাক্রমশীল।” (সূরা ১১, হুদ আয়াত ৬৬)

সামুদ জাতি কেন ধ্বংস হলো?

সামুদ জাতি বৈষয়িকভাবে চরম উন্নতি লাভ করার পরও কেন ধ্বংস হলো? কেন তারা বিলীন হয়ে গেলো? কেন হলো তাঁদের এই অপমানকর বিনাশ? এর কারন খুব সহজ। এর কারন হলো-

১। তারা শিরকে লিপ্ত হয়েছিলো।

২। তারা এক আল্লাহর আইন ও বিধান মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলো।

৩। তারা নবী ও নবীর পথকে প্রত্যাখ্যান করেছিলো।

৪। তারা দুষ্কৃতকারী ও দুর্নীতিবাজ নেতাদের অনুসরন করেছিলো।

৫। পরকালের তুলনায় বৈষয়িক জীবনকে তারা অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

৬। লাগামহীন ভোগ বিলাসে তারা নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল।

৭। তারা সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিল।

৮। আল্লাহর নিদর্শন দাবী করেও তা তারা প্রত্যাখ্যান করেছিলো।

৯। তারা আল্লাহর নিদর্শন উটনীকে হত্যা করেছিল।

১০। তারা আল্লাহর নবীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলো।

১১। তারা অহংকার ও স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।

কুরআনে সালেহ ও তাঁর জাতির উল্লেখ

এবার জানিয়ে দিচ্ছি কুরআনে হজরত সালেহ (আঃ) ও তাঁর জাতি সামুদের কথা কোথায় উল্লেখ আছে। হ্যাঁ, আল কুরআনে হজরত সালেহ (আঃ) এর নাম উল্লেখ আছে ৯ বার। যেসব সুরায় উল্লেখ আছে সেগুলো হলো- সূরা আল আরাফ, আয়াত ৭৩,৭৫,৭৭, সূরা হুদ, আয়াত ৬১,৬২,৬৬,৮৯, সূরা শোয়ারা, আয়াত ১৪২, সূরা নামল, আয়াত ৪৫।

আল কুরআনে সামুদ জাতির নাম উল্লেখ আছে ২৬ স্থানে। সেগুলো হলো- সূরা আল আরাফ,আয়াত ৭৩, তাওবা, ৭০, হুদ ৬১,৬৮,৬৮,৯৫, ইবরাহীম ৯, ইস্রা ৫৯, হজ্জ ৪২, ফুরকান ৩৮, শোয়ারা ১৪১, নামল ৪৫, আন কবুত ৩৮, সোয়াদ ১৩, মুমিন ৩১, হামিমুস সাজদা ১৩-১৭, কাফ ১৩, যারিয়াত ৪৩, আন নাজম ৫১, আল কামার ২৩, আল হাক্কাহ ৪,৫, বুরুজ ১৮, আল ফজর, আশ সামস ১১।

কুরআনের সুরাগুলো জানিয়ে দিলাম। সরাসরি কুরআন পড়লে আপনারা নিজেরাই এ ঘটনার আরো অনেক শিক্ষণীয় দিক জানতে পারবেন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!