সামরিক তথ্য পাচারের খবর
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে হযরত জোবায়ের ও হযরত মিশদাদ (রাঃ) কে আদেশ করলেন, খাখ নামক স্থানে যাও, সেখানে তোমরা এক মহিলার সাক্ষাৎ পাবে। তার সাথে একটি চিঠি আছে। তোমরা তার নিকট থেকে এটি ছিনিয়ে আনবে। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর এ নির্দেশ পাবার পর আমরা তিনজন ছুটেগিয়ে যথাস্থানে কথিত মহিলাকে পেয়ে চিটির কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলল, আমার নিকট কোণ চিঠি নেই।
অতঃপর আমরা তাকে উলঙ্গ করে তল্লাশীর কথা বললে, সে তার চুলের ভেতর থেকে হতে একটি চিঠি বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হলাম। উক্ত পত্রটি হযরত হাতিব বিন আবী বালতা (রাঃ) ঐ মহিলার মাধ্যমে মক্কার কাফেরদের নিকট পাঠাচ্ছিলেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কাফেরদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা গোপন করতে চেয়েছিল। চিঠির উদ্ধারের পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাতিব কে ডেকে ঐ চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞেস দেখা-শোনা ও সাহায্য করার মত, আমার কোন আত্মীয় স্বজন নেই। অর্থাৎ বর্তমানে তাঁরা উপকার করা যায়, তবে হয়ত তাঁরা আমার সন্তাদেরকে কোন প্রকার জ্বালাতন করবে না। হযরত হাতিবের এ বক্তব্য শুনে হযরত ওমর (রাঃ) আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যদি অনুমতি দেন, তবে এই মোনাফেক গর্দান দেই, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বারণ করে বললেন, বদরী ছাহাবাদের উপর আল্লাহ পাক বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। তাদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা আক্রমনের যে পরিকল্পনা করছিলেন, হযরত হাতির তার চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করে লিখলেন যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) এক বিশাল বাহিনী নিয়ে তোমাদের উপর আক্রমণ করতে আসছেন। তিনি একাও যদি তোমাদের উপর আক্রমন করেন, তবে আল্লাহর কসম! আল্লাহ পাক তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং তিনি তোমাদের উপর জয়ী হবেন।
সুতরাং তোমরা আত্মরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ কর। এ পত্রটি তিনি অত্যন্ত সংগোপনে ঐ বৃদ্ধার হাতে মক্কার কোরাইশদের নিকট পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ পাক রাসূল (সাঃ) কে এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত করে দিলে ঐ মহিলাকে পথে আটক করা হয়। (বুখারী ও মুসলিম)