সম্পদের উপর অসীয়তের পরিমাণ নির্দেশ
হযরত ছায়াদ ইবনে আবি ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের মৌসুমে আমি মক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়লাম।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার খোঁজ খবর নিতে তাশরীফ আনলেন। হযরত ছায়াদ (রাঃ) বলেন, আমি মনে করেছিলাম, এ রোগেই আমি ইন্তেকাল করব। সুতরাং আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার একমাত্র কন্যাই আমার ওয়ারিশ হবে। এক্ষনে আমি কি আমার সম্পদের দু-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করে যাব? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, না। পূনরায় আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ!
আমি কি আমার সম্পদের অর্ধেক দান করার অসীয়ত করে যাব? এবার ও তিনি নিষেধ করলেন। আমি পূনরায় আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তবে কি এক তৃতীংশ অসীয়ত করব? এবার পেয়ারা নবী করীম (সাঃ) বলেন, এটাও অনেক, কেননা এরোগে তোমার মৃত্যু নাও হতে পারে! তবে তুমি হয়ত জীবিত থাকবে, আর তোমার দ্বারা অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তও হবে।
রাসূলে পাক (সাঃ) এর এ ভবিষ্যতদ্বানীটি বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। ছায়াদ বিন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন। এবং আরো প্রায় পঞ্চাশ বছর জীবিত ছিলেন। মুসলমানরা তার দ্বারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হলেন। আর অগ্নি পুজকরা তার দ্বারা ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হল। হযরত ছাদ ইবনে আবী ওয়াককাসের চমৎকার কুটনৈতিক প্রয়াসের ফলেই মুসলমানরা পারস্যের যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। ঐ যুদ্ধেই রূস্তম নিহত হয় এবং অগ্নিপুজকদের রাজধানী মাদইয়ান শহরের পতন হয় এবং চিরদিনের জন্য তাদের রাষ্টীয় ক্ষমতার অবসান ঘটে। (বুখারী ও মুসলিম)