শেরওয়ানী বিভ্রাট
যাদের বুদ্ধি নাই তাদেরকে হাজার চেষ্টা করেও বুঝানো সম্ভব হয় না। কী দুনিয়া, কী দীনী সকল বিষয়েই তাদের কাছ থেকে হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না।
এক লোকের ছেলের বিয়ে। বরের জন্য ছেলের পিতা পাড়া থেকে এক লোকের শেরওয়ানীটি ধার নিল। বিয়ে বাড়িতে বরযাত্রীদের সাথে শেরওয়ানীর মালিকও হাজির হলো।
নিয়ম অনুসারে বরযাত্রীদের সাথে শেরওয়ানীর মালিকও হাজির হলো।
নিয়ম অনুযায়ী সবাই জামাই দেখতে আসলো। একজন জিজ্ঞেস করলো, বর কোনটা?
শেরওয়ানীর মালিক বললো, ইনি হলে বর। তবে শেরওয়ানীটি আমার।
ছেলের পিতা লোকটির কাছে এসে বললো, এই মিয়া তুমি অনর্থক লোক দেখছি। একথা বলার কী প্রয়োজন ছিল যে শেরওয়ানীটি আমার?
লোকটি বললো, সত্যি আমার ভূল হয়ে গেছে। এখন থেকে সতর্ক থাকবো।
এমন সময় আর একজন লোক এসে জিজ্ঞেস করলো, বর কোনটি?
শেরওয়ানীর মালিক বললো, বর এইটি। তবে শেরওয়ানীটি আমার নয়।
ছেলের পিতা বিরক্ত হয়ে লোকটির কাছে এসে বললো, তুমি আশ্চর্য ধরনের লোক দেখছি। একথা বলার কী প্রয়োজন ছিল যে শেরওয়ানীটি আমার নয়? শেরওয়ানীর ব্যাপারে কোন কথাই উঠবে না।
লোকটি বললো, সত্যি একথা বলার কোন প্রয়োজন ছিল না এখন থেকে একথাটিও বলবো না।
এমন সময় আবার একজন এসে জিজ্ঞেস করলো, বর কোনটি?
এমন সময় শেরওয়ানীর মালিক বললো, বর ইনি। তবে শেরওয়ানীর ব্যাপারে কোন কথা উঠবে না।
অগত্যা ছেলের পিতা বরের শরীর থেকে শেরওয়ানীটি খুলে লোকটিকে ফেরত দিয়ে দিল। এ লোকটিকে বুঝানো সম্ভব নয়।
ছোটকাল থেকে যাদের ছহীহ তরবিয়ত হয়নি তাদের জ্ঞান চিরদিনই অপূর্ণ থেকে যায়। দ্বীনী এন্তেজামের মাধ্যমে গঠনকৃত পরিবারে এমন হতে পারে না।
(আল এফাযাতুর ইয়্যোসিমস্যাহ; খন্ড ১, পৃষ্ঠা – ১৪৮)