শিল্পীর সুইয়ে বাঘ —- মুহাম্মদ আবু আখতার

এক ব্যক্তি তার দেহে বাঘের ছবি অঙ্কিত করার ইচ্ছা করল। তাই সে এক শিল্পীর কাছে গিয়ে বলল, আমার পিঠে একটি বাঘের ছবি উল্কি করে এঁকে দাও। শিল্পী এতে সম্মত হল। ফলে লোকটিও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাল।
শিল্পী উল্কির সুঁই তার পিঠে ফুটালো। লোকটি চিৎকার করে বলে উঠল- ওরে বাবারে! মরেছি, তুমি কী অাঁকছো যে এত ব্যথা? শিল্পী বলল বাঘের লেজ অাঁকছি। লোকটি বলল, লেজ ছাড়া বাঘ হয় না? অন্য কিছু অাঁক। আমি যে ব্যথায় মরছি।
শিল্পী লেজ ছেড়ে বাঘের পেট অাঁকায় সুঁই ফুটালো। লোকটি চেঁচিয়ে বলল- ওরে বাবারে! এখন আবার কি অাঁকছো। শিল্পী বলল, বাঘের পেট অাঁকছি। তখন লোকটি বলল, পেট আবার কি দরকার? এ বাঘ তো কোন কিছু খাবে না।
শিল্পী পেট অাঁকা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র সুঁই ফুটালো। তখন লোকটি তেড়ে উঠে জিজ্ঞাসা করল, এবার কি অাঁকা হচ্ছে? এতো যন্ত্রণা কেন? শিল্প বলল, বাঘের মাথা অাঁকছি। লোকটি বলল, মাথা অাঁকতে হবে না। জান বের হয়ে যাবে। অন্য কিছু অাঁক! তখন শিল্পী রেগে গিয়ে বলল, তোমার দেহে বাঘ অাঁকার কাজ নেই। যে বাঘের লেজ নেই, পেট নেই, মাথাও নেই সে কেমন বাঘ হবে? এমন বাঘ তো আল্লাহ্ কখনো সৃষ্টি করেননি। একথা বলে শিল্পী বিদায় হল।

শিক্ষা : দুঃখ-কষ্ট সহ্য না করলে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই কোন কাজের ইচ্ছা করলে তা ভালভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগে থেকেই দুঃখ-কষ্ট সহ্যের মানসিকতা থাকতে হবে।

সূত্র : আল এফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ ৩য় খন্ড পৃষ্ঠা- ৩০৭

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!