শিক্ষা সম্পর্কে হযরত ওমর (রাঃ) এর উদ্দেশ্য ছিল খুবই মহৎ। এ কারণে তিনি তাঁর সমগ্র সাম্রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা স্থাপনের জন্য জরুরিভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতঃপর সমাজে জ্ঞানে, গুনে আচার-বিচারে সব দিক দিয়ে যারা শ্রদ্ধেয় ছিলেন, খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ঐ ধরনের ব্যক্তিকেই শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত দিবার জন্য নির্দেশ দিলেন।
শিক্ষকদেরকে তিনি বেশি হারে বেতন দিতেন। তাঁর আমলে যদি কেউ শিক্ষক হতে পারত তাহলে সে নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করতেন। হযরত ওমর (রাঃ) শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য আলাদাভাবে রাজস্ব বিভাগ চালু করলেন আর শিক্ষকদের জন্য বৃত্তি তালিকা চালু করলেন। মাসে পনেরো দিরহাম বেতন পেতেন মদীনার শিক্ষকরা। এখন হতে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে সে বেতন অবশ্যই আকর্ষণীয় ছিল।
হযরত ওমর (রাঃ) সামাজের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক নিযুক্ত করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি তাঁদের উপযুক্ত মান-সম্মান, মর্যদা দিয়ে পুরো শিক্ষা জগতের আলোকিত করে তুলেছিলেন। এ জন্যই ইসলামের ইতিহাসে শিক্ষকের মর্যাদা আজও প্রবাদস্বরূপ।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।