শহিদগণ কবরেও জীবিত

যারা দ্বীনের জন্য তথা আল্লাহ্ তা’য়ালার কলেমাকে দুনিয়াতে উঁচু করতে যেয়ে আল্লাহ্ তা’য়ালার রাস্তায় শহীদ হন, জীবন দান করেন তারা মরেও অমর। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ও আমর বিন জামূহ (রাঃ)-এর মধ্যে প্রীতি ও ভালবাসা ছিল। এই জন্য উভয়কে ওহুদের ময়দানে এক কবরে দাফন করা হয়। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) মুখমণ্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাই তিনি একটি হাত দিয়ে জখম ঢেকে রেখেছিলেন। ঐ অবস্থাতে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। দাফন করার সময় হাতখানি সরিয়ে সোজা করতে গেলে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটে বলে হুজুরে পাক (সা.)-এর নির্দেশে ঐ অবস্থায় তাঁকে দাফন করা হয়। চল্লিশ বছর পরের ঘটনা। প্রবল বন্যা ধারার ফলে হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর এবং আমর বিন জামূহ (রাঃ)-লাশ দুটি বের হয়ে পড়ে। দেখা গেল, লাশ দুটি অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে যেন কাল দাফন করা হয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) হাতখানি মুখমণ্ডল থেকে উঠানোর সাথে সাথে রক্ত ছুটলো, পুনর্বার হাতখানি যথাস্থানে রেখে দিলে রক্ত বন্ধ হয়ে গেল।

আরো একটি ঘটনা, হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) ওহুদের ময়দানে শহীদানের কবরস্থানের মধ্য দিয়ে একটা নহর খনন করান। খনন কার্য আরম্ভ করার পূর্বে লোকদিগকে নিজ নিজ শহীদের লাশ নিয়ে যেতে জানিয়ে দেওয়া হল। হযরত যাবের (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা লাশগুলো তুলে আনলাম। তা সম্পূর্ণ তাজা ছিল, সুগন্ধি বিস্তার করতেছিলো। স্থানান্তর করার সময় হযরত হামজা (রাঃ)-এর পায়ে একটা আঁচড় লাগে, ফলে রক্ত বের হয়। ঐ সমস্ত শহীদানের কবর হতেও মেশকের খোশবু ছড়িয়ে পড়তেছিল।

(দলিল, হায়াতুস সাহাবা)

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!