শত্রুকে নিজের তরবারি দান—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

চতুর্থ খলীফা বীরবর আলী। বিস্ময়কর তাঁর শক্তি, সাহস ও উদার্য। এক যুদ্ধের ময়দানে বিপুল বিক্রমে তিনি যুদ্ধ করেছেন। একজন বলিষ্ঠ ও সাহসী সৈন্য তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রচণ্ড বেগে তাঁকে আক্রমণ করল। তুমুল যুদ্ধ চলল। অকস্মাৎ আলীর আঘাতে শত্রুর তরবারি ভেঙে গেল। শত্রুকে অসহায় দেখে আলী তরবারি কোষে ভরলেন। শত্রু মৃত্যুর প্রতীক্ষায়। আলীকে ক্ষান্ত হতে দেখে সে বিস্মিত হলো। সে আলীর কাছে আরেকখানি তরবারি চাইতেই আলী তৎক্ষণাৎ দ্বিধাহীন চিত্তে নিজের তরবারিটি তাকে দিয়ে দিলেন।

শত্রু অবাক বিস্ময়ে তাঁর দিকে চেয়ে বলল, “এভাবে নিজেকে অরক্ষিত করে যে বীর অন্যের প্রার্থনা পূর্ণ করে, তার সঙ্গে তো যুদ্ধ অসম্ভব।” শত্রু জিজ্ঞাসা করল, “হে বীর শ্রেষ্ঠ আলী, আপনি কেন এভাবে নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে নিজের তরবারি দান করলেন?” আলী উত্তর দিলেন, “কিন্তু আমি যে কারও প্রার্থনা অপূর্ণ রাখি না।”

শত্রু অম্লান বদনে আলীর এই মহত্ত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করল। সত্যের কাছে অসত্য এমনিভাবে যুগে যুগে পরাজয় স্বীকার করেছে। সত্যের মহিমা মিথ্যার গর্বকে জয় করেছে। সত্য-ন্যায়ের শক্তি পশুত্বকে জয় করেছে, অস্ত্রের চাকচিক্য, মৃত্যুর ভ্রুকুটিকে ম্লান করেছে—উপেক্ষা করেছে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!