ললাটের লিখন– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– পঞ্চম অংশ

“ তা হলে সুষমাকে কিসের প্রয়োজন ? ”

“ অন্ন চাই যে । ব্রহ্মচারীকেও ভিক্ষার জন্য আসতে হয় মেয়েদের দ্বারে । রাজভান্ডারের চাবি দিতে চান ওর হাতে । রোসো অনুষ্ঠানটা শেষ হয়ে আসছে , এইবার ঘরে ঢুকে দেখে আসি গে । ”

গেল ঘরের মধ্যে । তখন মুক্তারাম বলছে , “ তোমরা যে সম্বন্ধ স্বীকার করছ , জেনো , সে আত্মপ্রকাশের জন্যে , আত্মবিলোপের জন্যে নয় । যে-সম্বন্ধ মুক্তির দিকে নিয়ে চলে তাকেই শ্রদ্ধা করি , যা বেঁধে রাখে পশুর মতো তা প্রকৃতির হাতে গড়া প্রবৃত্তির শিকলই হোক আর মানুষের কারখানায় গড়া দাসত্বের শিকলই হোক — ধিক্‌ তাকে । ”

উজ্জ্বল হয়ে উঠল সুষমার মুখ , যেন সে দৈববাণী শুনলে । মুক্তারামের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলে ।

 

চৌরঙ্গি অঞ্চলে বাঁশরিদের বাড়ি । সেখানে ওর দুই অবিবাহিত ভাই থাকে । পাটনা অঞ্চলে থাকতে হয় বাপকে বেহার গবর্মেন্টের কোন্‌ কাজে । মা প্রায়ই থাকে তারই সঙ্গে , মেয়েকে রাখতে চায় কাছে , মেয়ে কলকাতা ছেড়ে যেতে নারাজ ।

পৃথ্বীশকে বাঁশরি এত প্রশ্রয় দেয় , সেটা একেবারেই পছন্দ করে না ভাইরা । সবাই জানে বাঁশরির বুদ্ধি অসামান্য তীক্ষ্ণ , মেয়েদের দিক থেকে সেটা একেবারেই আরামের নয় , তা ছাড়া ওর অধিকাংশ সংকল্প দুঃসাহসিক হিংস্র প্রাণীর মতো , শুধু যে লম্বা লাফ দিতে পারে তা নয় , সঙ্গে থাকে প্রচ্ছন্ন কোষে তীক্ষ্ণ নখর । ওর ভাইরা সুযোগ পেলেই পৃথ্বীশের চেহারা নিয়ে , লেখা নিয়ে ঠাট্টা করে , কিন্তু এ বাড়িতে যাতায়াতের বাধা দেবার আভাসমাত্র দিতে সাহস পায় না ।

পৃথ্বীশ জানে এদের ঘরে তার প্রবেশ অনভিলষিত । তাই নিয়ে ওখানকার দ্বারী থেকে আরম্ভ করে সমস্ত পুরুষ অধিবাসীর কাছে ওর সংকোচ ভাঙতে চায় না — ও কেবলই মনে করে , ওর আদ্যোপান্ত সমালোচনা করে সবাই , বিশেষত কপালের সেই দাগটার । এদের বাড়িতে অন্য যে-সব অভ্যাগতদের আসতে দেখে , তারা সাজে সজ্জায় ভাবে ভঙ্গিতে ওর থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শ্রেণীর মানুষ । ও চেষ্টা করে নিজেকে বোঝাতে যে ওরা ডেকোরেটেড ফুল্‌স্‌ , কিন্তু সেই স্বগতোক্তিতে লজ্জা চাপা পড়ে না । ও যখন দেখে অন্যরা এখানে আসে স্বাধিকারের নিঃসংকোচে তখন আপন সাহিত্যিক আভিজাত্যবোধকে মনে মনে সবলে স্ফীত করে তুলেও নিজেকে ওদের সমান বহরে দাঁড় করাতে পারে না । সেটা বোঝে বাঁশরি এবং এও বোঝে যে বাঁশরির দিকে ওর আকর্ষণ প্রতিদিন প্রবল হয়ে উঠছে অন্তত তার একটা কারণ এই শ্রেণীগত দুরধিগম্যতা । বাঁশরির সামীপ্যে ওর মনে একটা অহংকার জাগে , ইচ্ছে করে দেখুক সব বাইরের লোকে । এই অহংকারটা ওর পক্ষে লজ্জার কারণ । তা জেনেও পারে না সামলাতে । একটা কথা বুঝে নিয়েছে বাঁশরি যে , ওদের বাড়িতে হেঁটে আসতে বাধে পৃথ্বীশের । যখন দরকার হয় নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওকে আনতে । অর্থাভাবগ্রস্ত পৃথ্বীশ শোফারকে মোটা বকশিস দিতে ভোলে না ।

আজ শৌখিনমন্ডলীর দিনারম্ভে অর্থাৎ বেলা আটটায় গাড়ি পাঠিয়েছিল বাঁশরি । সেদিন পৃথ্বীশের হল অকালবোধন । তারও দিনগণনা হয় পূর্বাহ্নের প্রথম কটা ঘন্টা বাদ দিয়ে । বাঁশরির ভাইরা তখন বিছানায় শুয়ে আধ-মেলা চোখে চা খাচ্ছে । সূর্যের যেমন অরুণ সারথি , ওদের জাগরণের তেমনি অগ্রদূত গরম চায়ের পেয়লা । পৃথ্বীশ যখন এল বাঁশরির চুলবাঁধা তখন শিথিল , মুখ ফ্যাকাসে , আটপৌরে শাড়ি , পায়ে ঘাসের জাপানি চটি । মুগ্ধ হল পৃথ্বীশের মন , অসজ্জিত রূপের মধ্যে অন্তরঙ্গতা আছে , তাতে দুরু দুরু কাঁপিয়ে দিল ওর বুকের ভিতরটা । ইচ্ছে করতে লাগল মরীয়া হয়ে দুঃসাহসিক কথা একটা কিছু বলে ফেলে । মুখে বেধে গেল , শুধু বললে , “ বাঁশি , আজ তোমাকে দেখাচ্ছে সকালবেলাকার অলস চাঁদের মতো । ”

বাঁশরির স্পষ্ট করে বলতে ইচ্ছে করছিল ‘অকরুণ বিধাতার শাপ তোমার মুখে । মুগ্ধ দৃষ্টি তোমাকে মানায় না । দোহাই তোমার , গদগদ ভাবটা রেখে দিয়ো আপন নির্জন ঘরের বিরহের জন্য জমিয়ে। ‘ পৃথ্বীশের মুখের ‘পর চোখ রাখা বাঁশরির পক্ষে অনেক সময় অসম্ভব , বিশেষত যখন সেই মুখে কোনো আবেগের তরঙ্গ খেলে , হয় দুর্নিবার হাসি পায় , নয় ওকে পীড়িত করে ।

পৃথ্বীশের ভাবোচ্ছাস থামিয়ে দিয়ে বাঁশরি বললে , “ কাজের কথার জন্যে ডেকেছি , অন্য অবান্তর কথার প্রবেশ স্ট্রিক্টলি প্রোহিবিটেড । ”

পৃথ্বীশ ক্ষুণ্ন হয়ে বললে , “ জরুরি কথা এত কী আছে । ”

“ জরুরি নয়! এই বুঝি তুমি আর্টিস্ট । নিজের চক্ষে দেখলে আসন্ন ট্র্যাজেডির প্রলয় সংকেত । এখনো রঙের তুলি বাগিয়ে ধরতে মন ছট্‌ফট্‌ করছে না ? আমার তো কাল সারারাত ঘুম হল না । কী বলব , বিধাতা শক্তি দেন নি নইলে এমন কিছু বলতুম যার অক্ষরে অক্ষরে উঠত আগুনের ফোয়ারা । আর্টিস্টের মতো দেখতে পাচ্ছি সমস্তটাই স্পষ্ট , অথচ আর্টিস্টের মতো বলতে পারছি না স্পষ্ট করে । চতুর্মুখ যদি বোবা হতেন তা হলে অসৃষ্ট বিশ্বের ব্যাথায় মহাকাশের বুক যেত ফেটে । ”

“ বাঁশি , কে বলে তুমি প্রকাশ করতে পার না ? কে বলে তুমি নও পুরো আর্টিস্ট ? তোমার শক্তির যে-সব প্রমাণ মুখে-মুখে যেখানে-সেখানে হরির লুটের মতো ছড়িয়ে ফেলো দেখে আমার ঈর্ষা হয় । ”

“ আমি যে মেয়ে , আমার প্রকাশ ব্যক্তিগত । বলবার লোক স্পষ্ট সামনে পেলে তবেই বলতে পারি । কেউ নেই অথচ বলা আছে এইটে পুরুষ আর্টিস্টের । সেই বলা চিরকালের — আমাদের বলা যত হোক সে কেবল নগদ বিদায় দিনেদিনের । ঘরে ঘরে মুহূর্তে মুহূর্তে সে বুদ্‌বুদের মতো উঠছে আর মেলাচ্ছে । ”

পুরুষ আর্টিস্টের অহংকার ঘনিয়ে উঠল , সে বললে , “ আচ্ছা বেশ , কাজ শুরু হোক । কাল বলেছিলে একটা চিঠির কথা । ”

“ এই নাও” , ব’লে একটা চিঠির কপি করা এক অংশ ওকে পড়তে দিলে । তাতে আছে — “ প্রেমে মানুষের মুক্তি । কবিরা যাকে ভালোবাসা বলে সেটা বন্ধন । তাতে একজন মানুষকে আসক্তির দ্বারা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে তাকেই তীব্র স্বাতন্ত্র্যে অতিকৃত করে তোলে । যত তার দাম প্রকৃতিজুয়ারি তার চেয়ে অনেক বেশি ঠকিয়ে আদায় করে । এই তো প্রকৃতির চাতুরি , নিজের উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে । মোহের জাদু লাগিয়ে এই মরীচিকার সৃষ্টি । এই কথাটাকেই শেক্সপিয়ার কৌতুকচ্ছলে দেখিয়েছেন তাঁর ভরাবসন্তের স্বপ্নে । প্রেম জাগ্রত দৃষ্টি , নরনারীর ভালোবাসা স্বপ্নদৃষ্টি নেশার ঘোরে । প্রকৃতি মদ ঢেলে দেয় দেহের পাত্রে , তাতে যে অনুভূতিকে তীব্র করে , তাকে সহজ সত্যবোধের চেয়ে বেশি সত্য বলে ভুল হয় । এই ভোলানোটা প্রকৃতির স্বরচিত । খাঁচাকেও পাখি ভালোবাসে যদি তাকে আফিমের নেশায় বশ করা যায় । বন্ধনের প্রতি আসক্তিকে সর্বান্তঃকরণে ভয় করো , জেনো ওটা সত্য নয় । সংসারে যত দুঃখ , যত বিরোধ সকলের মূল এই ভ্রান্তি নিয়ে , যে ভ্রান্তি শিকলকে মূল্যবান করে দেখায় । কোন্‌টা সত্য কোন্‌টা মিথ্যে যদি চিনতে চাও , তবে বিচার করলেই বুঝতে পারবে কোন্‌টাতে মুক্তি দেয় , কোন্‌টাতে দেয় না । প্রেমে মুক্তি , আসক্তিতে বন্ধন । ”

“ চিঠি পড়লুম । তার পরে ?” “ তারপরে তোমার মাথা , অর্থাৎ কল্পনা । মনে মনে শুনতে পাচ্ছ না , শিষ্যকে বলছেন সন্ন্যাসী — ভালোবাসা আমাকেও না , ভালোবাসা আর কাউকেও না । নির্বিশেষ প্রেম , নির্বিকার আনন্দ , নিরাপদ আত্মনিবেদন , এই হল দীক্ষামন্ত্র । ”

“ তা হলে এর মধ্যে সোমশংকর আসে কোথা থেকে ?”

সেই রাস্তাই তো তৈরি হল প্রেমে । সন্ন্যাসী বলেছেন প্রেমে সকলেরই অধিকার । সোমশংকরের তাতে পেট ভরবে না , সে চেয়েছিল বিশেষ প্রেম , মীনলাঞ্ছনের মার্কা মারা । কিন্তু সর্বনাশে সমুৎপন্নে যথালাভ , অর্ধেকের চেয়ে কম হলেও চলে । আমি তোমাকে বলে দিচ্ছি , সুষমা ওকে খুব গম্ভীর সুরে বলেছিল , যে-প্রেম বিশ্বের সকলের জন্যে আমাদের দুজনের মিলন সেই প্রেমের পথকেই খুলে দেবে । পথের মাঝখানটা ঘিরে নিয়ে দেয়াল তুলবে না । শুনে সোমশংকরের ভালোবাসা দ্বিগুণ প্রবল হয়েছে । সেই ভালোবাসা নির্বিশেষ প্রেম নয় এ কথা লিখে রাখতে পারো । ”

“ আচ্ছা , একটা কথা জিজ্ঞাসা করি , এ অবস্থায় তুমি হলে কী করতে । ”

“ আমি হলে পরম ভক্তিভরে সন্ন্যাসীর কথা সোনার জলে মরক্কো চামড়ার বাঁধা খাতায় লিখে রাখতুম , তার পরে দুর্দম আসক্তির জোর কলমে তার প্রত্যেক অক্ষরের উপর দিতাম কালির আঁচড় কেটে । ওই তাপস চায় প্রকৃতির মতোই মুগ্ধ করতে , নিজের মন্ত্র দিয়ে অন্যের মন্ত্রটা খন্ডন করবার জন্যে । আমার উপর খাটত না এ মন্ত্র , যদি একটু সম্ভব হত তা হলে সন্ন্যাসী নিশ্চয়ই আমাকে ছেড়ে সুষমার দিকে তাকাত না , এ কথা আমি জোর করেই বলতে পারি । ”

“ বেশ কথা , কিন্তু ইতিহাসের গোড়ার দিকে অনেকটা ফাঁক পড়েছে , সেটা ভরিয়ে নিতে হবে । ওদের বিবাহসম্বন্ধ সন্ন্যাসী ঘটালো কী উপায়ে ?”

“ প্রথমত সেনবংশ যে ক্ষত্রিয় , তারা যে কোনো-এক খৃস্টশতাব্দীতে দক্ষিণ থেকে এসেছিল দিগ্‌বিজয় বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশে , সেইটে প্রমাণ করে হিন্দি অনুবাদসহ সংস্কৃততে লিখলে এক পুঁথি । কাশীর কোনো কোনো দ্রাবিড়ী পন্ডিতের সমর্থন জুড়ে দিলে তার সঙ্গে । সন্ন্যাসী স্বয়ং সোমশংকরের রাজ্যে গেল — প্রজারা চেহারা দেখেই তেত্রিশ কোটির মধ্যে কোন্‌-এক দেবতার অংশাবতার বলে নিলে ওকে মাথায় করে । সভাপন্ডিত শুদ্ধ মুগ্ধ হল আলাপে । কুমায়ুনের কোন্‌ পাহাড়ে এদের দুজনের ঘটালে সাক্ষাৎ । ওরা দোঁহে মিলে ঘোড়ায় চড়ে ফিরল দুর্গমে , শিকারে বেরোল বনে জঙ্গলে । বীরপুরুষের মন ভুলল অনেকখানি প্রকৃতির মোহে , অনেকখানি সন্ন্যাসীর মন্ত্রে , তার পর এই যা দেখছ । ”

“ ইচ্ছা করছে তরুণ তাপস সংঘে আমিও যোগ দিই । ”

“ কেন , সংসারতাপ নিবারণের জন্যে , না পেটের জ্বালা ? ”

“ সন্ন্যাসীর Love’s philosophy যা শুনলুম শেলির সঙ্গে তা মেলে না কিন্তু মনের শান্তি পাবার জন্যে নিজের পক্ষে আশু তার প্রয়োজন । ”

“ যেয়ো সংঘে , কেউ আপত্তি করবে না । কিন্তু তার আগে এমন একটা গল্প লিখে যাও যাকে নাম দিতে পারবে মোহমুদ্‌গর । ”

“ শংকরের মোহমুদ্‌গর ? ”

“ হাঁ তাই । সত্য কথা লিখতে শেখো । ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নয় , আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে । ”

বাঁশরির মুখ লাল হয়ে উঠেছে , দৃষ্টিতে জ্বলছে যেন ইস্পাতের ঝল্‌সানি । পৃথ্বীশ মনে মনে ভাবছে — কী সুন্দর দেখাচ্ছে একে ।

বাঁশরি একসময়ে চৌকি থেকে উঠে বললে , “ বলবার কথা শেষ হল । এখন মফিজকে বলে আসি তোমার জন্যে কিছু খাবার নিয়ে আসুক । ”

পৃথ্বীশ ছুটে এসে ওর হাত চেপে ধরলে , বললে , “ খাবার চাই নে , তুমি যেয়ো না । ”

বাঁশরি হাত ছুটিয়ে নিয়ে হো হো করে হেসে উঠল । বললে , “ আমাকে হঠাৎ তোমার ‘ বেমানান ‘ গল্পের নায়িকা বানিয়ে তুলো না , তোমার জানা উচিত ছিল আমি ভয়ংকর সত্যি । ”

ঠিক সেই সময়ে ড্রেসিং গাউন পরে ওর ভাই সতীশ ঢুকে পড়ল ঘরে । জিজ্ঞাসা করলে , “ উচ্চ হাসির আওয়াজ শুনলাম যে । ”

গল্পের ষষ্ঠ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!