রের কান্ড।

অজ্ঞতা ও ভন্ড চিকিৎসার শুরু
বর্তমানে অনেকেই টাকা রোজগারের জন্য ডাক্তারি শুরু করেন, অথচ তাদের চিকিৎসা বিষয়ক তেমন কোনো জ্ঞান নেই। ঠিক তেমনই এক ভুয়া ডাক্তার একদিন এক রুগী দেখার জন্য ডাকা হলো। তিনি রুগীর বাড়িতে গিয়ে দেখলেন, রুগীর শরীরে জ্বর। এরপর রুগীর নাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করলেন।

অভিনব অনুমান ও বিশ্বাস
নাড়িতে হাত রেখেই তিনি বললেন, “মনে হয় তুমি বেশি পরিমাণে তেঁতুল খেয়েছো।”
রুগী সত্যিই তেঁতুল খেয়েছিল, তাই অবাক হয়ে গেল—নাড়ি দেখে কিভাবে বুঝে ফেললেন! ভাবলো নিশ্চয়ই তিনি একজন খাঁটি ডাক্তার। যথারীতি ফি দিয়ে তাকে বিদায় করে দিল।

ডাক্তারের ছেলের কৌতূহল
ডাক্তারের সঙ্গে তার ছেলে ছিল। সে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কিভাবে বুঝলেন রুগী তেঁতুল খেয়েছে?”
ডাক্তার হেসে বললো, “রুগীর চৌকির নিচে তেঁতুলের খোসা দেখেছিলাম। সেখান থেকেই বুঝলাম।”
ছেলে ভাবলো, “আহা! ডাক্তারি তো খুবই সহজ বিষয়!”

ছেলের ব্যর্থ অনুকরণ
এরপর সে-ও ডাক্তারি শুরু করল। একদিন হাঁপানির একজন রুগীর বাড়িতে গিয়ে দেখে, তার চৌকির নিচে ছেঁড়া জুতা পড়ে আছে। পিতার চিকিৎসা কৌশল মনে করে সে রুগীর নাড়িতে হাত রেখে বললো, “মনে হয় আপনি ছেঁড়া জুতা খেয়েছেন, তাই আপনার রোগ বেড়ে গেছে।”
এই কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেল। এরপর সবাই মিলে “দূর-দূর” বলে তাকে তাড়িয়ে দিল।

নীতিকথা
অল্প বিদ্যা ভয়ংকারী!
এই গল্প থেকে শিক্ষা—কোনো বিষয়ে পুরোপুরি না জেনে কাজ শুরু করলে সেটা শুধু নিজের নয়, অন্যের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!