রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুজিযা

প্রখ্যাত হাদীস গ্রন্থ “তিরমিযী” শরীফে বর্ণিত আছে, একদিন এক ইহুদী মহিলা ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ঈমান গ্রহণ করে নিল। তাঁর একটি প্রাপ্ত বয়ষ্কা কন্যা সন্তান ছিল। একদিন মেয়েটি আকষ্কিক ভাবে মারা গেল। অন্যান্য ইহুদীরা ভর্তসনা দিতে শুরু করল যে, মুসলমান হবার কারণেই তোমার মেয়ে মারা গিয়েছে। ইহুদীদের এসব বাজে কথা শুনে স্বামী স্ত্রী দুজনেই কাঁদতে শুরু করে দিল। বিরহ সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে দু’জনই আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে আরজ করল ইয়া রাসূলুল্লাহ! সবেমাত্র আমরা ঈমান গ্রহন করে মুসলমান হয়েছি। কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাদের একমাত্র যুবতী কন্যা মারা গিয়েছে। আমরা তাকে ইসলামী তরীকায় দাফনও করেছি।

আমরা ঈমান গ্রহন করার পরপরই আমাদের কন্যা মারা যাওয়াতে আমাদেরকে গোত্রীয় লোকেরা ভর্তসানা দিচ্ছে। তারা বলছে ঈমান আনার কারণেই সে মারা গিয়েছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিবরণ শুনে বললেন, তোমরা আমাকে তার কবরের পাশে নিয়ে চল। রাসূলের নির্দেশ মোতাবেক তারা তাঁকে একটি পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে ইশারা করে বলল, ঐ যে পাহাড়ের উঁচুতে আমার মেয়ের কবর। এরপর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিচে দাঁড়িয়ে বললেন- হে আল্লাহর বন্দি! আল্লাহর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডাকছে।

তুমি বেরিয়ে এস। নবীজীর এ বাণী শুনার সাথে সাথে কবর চিড়ে মেয়েটি বেরিয়ে এল এবং ছুটে গিয়ে মা বাবার সাথে সাক্ষাত করল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর থেকে বেরিয়ে আসা মেয়েটিকে বললেন, বল! তুমি যেখানে ছিলে সেখানে যেতে চাও, নাকি মা বাবার সাথে থাকতে চাও। যুবতী বলতে লাগল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার জন্য দু’আ করুন, যেন আমার মা বাবার অন্তর থেকে আমার মায়া চলে যায়। তারা যেন আমার জন্য কান্নাকাটি না করে। আমি আমার স্থানে চলে যেতে চাই। কারণ আল্লাহ তা’আলাকে আমি, মা-বাবার চেয়েও অধিক ভাল পেয়েছি।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।