রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দোয়ায় হযরত আবূ হোরায়রার খেজুরে বরকত
হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা আমি কয়েকটি খেজুর নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমার এ খেজুর গুলোতে বরকতের জন্য দোয়া করুন। তিনি খেজুরগুলোকে একত্রিত করে দোয়া করার পর বললেন, এগুলো তোমার থলিতে রেখে দাও। প্রয়োজন মত বের করে আহার করবে। কিন্তু কখন থলে শুন্য করে খেজুর বের করো না।
হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, ঐ খেজুরের বরকতের কথা কি বলব। কতকাল ধরে আমি অনবরত ঐ থলে হতে খেজুর বের করে আহার করেছি, অপরকে খেতে দিয়েছি, আল্লাহর ওয়াস্তে মনকে মন খেজুর দান করেছি। ঐ থলেটি বরাবর আমার কোমরে ঝুলানো থাকতো।
হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, হযরত ওসমান (রাঃ) যেই দিন, শাহাদাত বরণ করেন, সে দিন আমার ঐ থলেটি ছিড়ে কোথায় যায়। ঐ থলের খেজুরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কত বড় মু’যিযা প্রকাশ পেয়েছে যে, তাঁর দোয়ার বরকতে সামান্য কয়েকটি খেজুরের মধ্যে এত বরকত হয়েছে যে, ত্রিশ বছর পর্যন্ত আমি তা থেকে খেয়েছি, মানুষকে খেতে দিয়েছি এবং অনেক মন খেজুর আল্লাহর পথে দান করেছি; কিন্তু দোয়ার বরকতে কখনো ঐ থলেটি খেজুর শুন্য হয়নি।
ওলামায়ে কেরাম উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণনা করেন, অনেক সময় সাধারণ মানুষের বদ আমলের কারণে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা বরকত থেকে বঞ্চিত হন। হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাহাদাতের হৃদয় বিদারক ঘটনাটি এমন ভয়াবহ অপরাধ ছিল যে, তার ফলে হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) আল্লাহ প্রদত্ত ওই স্থায়ী বরকত থেকে স্বয়ং চিরবঞ্চিত হলেন। এ হৃদয় বিদারক ঘটনার উপর আলকপাত করে হযরত আবূ হোরায়রা দু লাইন কবিতা রচনা করেনঃ
আনুবাদঃ “মানুষের আজ একটি শোক কিন্তু আমার শোকের কারণ দু’টি। একটি হলো হযরত ওসমান (রাঃ) এর শাহাদাত এবং অপরটি আমার থলে হারিয়ে যাওয়ার শোক”।