রাজা-রানীর গল্প

একদিন রাজা-রানী বাসায় বসে গল্প করছে। এমন সময় একজন সিপাহী গিয়ে রাজাকে বললেন, রাজবাড়ির দিকে একদল শত্রু আসছে। বলতে না বলতে শত্রুরা হাজির। তারা রাজবাড়ি আক্রমণ করলো। রাজা তাঁর বন্দুক হাতে শত্রুর মোকাবেলা করলেন সাথে সিপাহীরা ছিল। রক্তে ভেসে গেলো রাজার বাড়ি। তা দেখে কিছু শত্রু পিছু হটলো। এরপর থেকে বহুদিন রাজা-রানীই সুখেই বসবাস করছেন। পূর্বের ঘটনার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন।
শত্রুরা কিন্তু কথাগুলো ভুলেনি। অনেকদিন পর একরাতে গিয়ে রাজা-রানী দু’জনকেই মেরে ফেললো তারা।

বাড়ির অন্যান্য লোকজনদের একটা কক্ষে বন্দি করে রাখলো। শত্রুরা রাজার বাড়িতে থাকতে শুরু করলো। দিন দিন রাজার বাড়ির সব মূল্যবান জিনিসপত্র নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তা দেখে রাজবাড়ির আশেপাশের মানুষগুলো তাদেরকে নিষেধ করলে প্রতিবেশিদের মেরে ফেলতে চায়। এই ভয়ে লোকজন আর কিছু বলেনি। কিন্তু প্রতিবেশিরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে এক ধরনের পোশাক তৈরি করলো যা পরলে কেউ মারলেও তাদের গায়ে লাগে না। সে সুযোগে একদিন প্রতিবেশিরা রাজার বাড়িতে গিয়ে শত্রুদের মেরে ফেললো। এতে সঠিক বিচার হলো। মনে রাখতে হবে মানুষকে মারতেই নেই। অন্যকে মারলে নিজেকেই মরতে হয়।

দুঃখিত!