রাজবধূ পর্ব ৪৪ (রেহানা পুতুল)

রাজবধূ ৪৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

“রাতে বাইরে ওর কি কাজ বুঝলাম না?”

ভেবেই বিস্মিত মনে রাজ দোতলায় চলে গেলো। দেখলো শিখা ক্লাসের বাধ্য ছাত্রীর ন্যায় একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে স্থানুবৎ হয়ে। মাথায় লাল ঘোমটা পরিহিত শিখার দৃষ্টি অবনত ও লাজুক!

রাজ রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে বলল,

” জুবায়েরকে আমি সন্ধ্যায় বলে রেখেছি আমাদের কিছু ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। বাসর ঘর সেই সাজিয়ে দিলো। আমাকে অভিনন্দনও জানালো। কিন্তু সে বাড়িতে নেই। কি জরুরী কাজে বের হয়ে গেলো। রাতে আসবে না নাকি। রাগ হচ্ছে ভীষণ তার উপর। থাক, আমি তোমার একাকী কিছু ছবি তুলবো। তুমি ফুলের তোড়াটি হাতে নাও।”

শিখা রাজের কথা শুনলো অনুগত হয়ে। রাজ বিভিন্ন পোজে শিখার কিছু ছবি তুলে দিলো। পালংক বরাবর দেয়ালে ‘বাসর ঘর’ লিখা রয়েছে। শিখা পালংকের মাঝখানে গিয়ে আঁচল মেলে ও শাড়ির কুচিগুলো পায়ের চারপাশে ছড়িয়ে বসলো রাজের ইচ্ছেনুযায়ী। ‘বাসরঘর’ শব্দটি লিখাসহ শিখাকে ফ্রেমবন্দী করলো রাজ। ক্যামেরা রেখে দিলো টেবিলের উপরে।

শিখাকে নামতে বলল অনুরোধের ঢংয়ে। শিখা শাড়ির কুচিগুলো আলগোছে খানিক তুলে আবার নামলো। রাজ শিখার খুব গা ঘেঁষে দাঁড়ালো। কোন দূরত্ব রাখল না মাঝখানে। নিবেদিত কন্ঠে বলল,

“প্রজাপতি।”

“উমম।”

“কিছুক্ষণ হতে আর কতক্ষণ বাকি? নিশি যে ফুরিয়ে যাচ্ছে?”

শিখা কেঁপে উঠলো। আমতা আমরা করতে লাগলো নিষ্পাপ শিশুর লুকোচুরি ধরা পড়ার মতো।

রাজ বলল,

“দেখো সাপোর্ট দিচ্ছি আমি। ওকেহ! আরেকটু সাপোর্ট দিচ্ছি তোমাকে। তুমি স্যান্ডেলজোড়া খুলে নাও। এবং আমার দুই পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে দাঁড়াও। কাজ এগিয়ে গেলো। এবার ধরো আমায়।”

শিখা দোনোমোনো করতে করতে বিড়বিড়িয়ে বলল,

“আমার গুনাহ হবে আপনার পায়ে পাড়া দিলে। তখনও আপনি যে কাজ করেছেন আমার পায়ে, তা ঠিক হয়নি। আমি পারব না। মাফ করেন।”

রাজ হোঃ হোঃ হোঃ করে রুম কাঁপিয়ে হেসে বলল,

“তুমি যেন আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইজিফিল করো,তাইতো এই পন্থা। আর স্বামী স্ত্রীর কোনকিছুতেই গুনাহ নেই।”

শিখা রাজের পায়ের নিচে বসে পড়লো। হাঁটুতে মাথা ঠেকিয়ে ভেজা গলায় বলল,

“পারছি না। ক্ষমা করুন। আমি কোনদিন কোন ছেলের সঙ্গে ফাজলামো করেও কথা বলিনি। কোনদিন কোন ছেলের হাত ধরিনি। আমার এই ছোট্ট জীবনে প্রথম অনুভূতি, প্রথম ভালোলাগা,প্রথম ভালোবাসা,প্রথম স্পর্শ, শুধু আপনি। তাই আজ হঠাৎ করে এসব আমি পারছি না। এ আমার জন্য অসাধ্য! ”

রাজ শিখার দুবাহু ধরে দাঁড় করালো। শিখার অকপট স্বীকারোক্তিকে সে বেদবাক্যের মতো বিশ্বাস করলো। বলল,

“তুমি আমার দেবী। দেবীর স্থান হয় বুকে। পায়ে নয়। তোমার পুষ্পসজ্জায় উঠে যাও।”

শিখা উঠে বসলো। রাজও পালংকের উপরে উঠে গেলো। আধশোয়ার মতো হয়ে দুই বালিশে হেলান দিলো। একহাত দিয়ে শিখার চিবুক ধরে বলল,

“তোমার রূপমাধুরি দেখে লজ্জায় মুখ লুকাবে ওই চাঁদ। তোমার মধুমাখা সুললিত অঙ্গ দেখে পাখিরা গাইতে ভুলে যাবে। ফুলেরা ফুটতে ভুলে যাবে।”

শিখার সরু দু’ঠোঁট তিরতির করে কাঁপছে।

“আমার প্রথম সাধ পূর্ণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হলে তুমি। এবার দ্বিতীয় সাধ মেটাও। আমার কোলে মাথা রেখে শোও একটু।”

“কি হবে তাতে?”

“ওরেহব্বাস! আমার প্রজাপ্রতির মুখে বোল ফুটেছে বসন্তের আম্র মুকুলের মতো। কি হবে? তোমাকে প্রাণ ভরে দেখবো। নয়নকে সার্থক করবো।”

“শিখা সংকোচপূর্ণ মনে রাজের কোলে মাথা রাখলো। দুই হাঁটু ভাঁজ করে কাত হয়ে রইলো।”

রাজ শিখার গালের একপাশে নিজের চার আঙ্গুলের পিঠ বোলাতে লাগলো উপর নিচ করে। তারপর একই কাজ শিখার দুই ঠোঁটের উপর করতে লাগলো। শিখার অনভূতিরা শিরশির করছে। এক অজানা,অচেনা সুখকর অনুভূতি তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। সে আবেশে দুচোখ বুঁজে ফেললো। শিখা টের পাচ্ছে রাজের হাত তার মুখ হতে গলার নিচে নেমে এলো। ব্লাউজের উপরের খোলা অংশে রাজের হাত অস্থিরভাবে ঘুরছে ডানে বামে।

“কি করছেন এসব?” বলে শিখা রাজের হাত চেপে ধরলো।

শিখার চমকানোভাব দেখে রাজ থতমত খেয়ে হাত সরিয়ে নিলো।

“কই কি করছি? শুরুই ত করতে দিচ্ছনা কিছু।”

শিখা উঠে বসলো। তার বুক ধড়ফড় করছে। মাথার উপরে সিলিং ফ্যান ঘুরছে অনবরত। তবুও শিখা মোটা কাতান শাড়ি,ভারি গহনা,সাজসজ্জার জন্য উসখুস করছে।

রাজ বুঝতে পেরে বলল,

“অস্বস্তি হচ্ছে তোমার বুঝতে পারছি। সব খুলে ফেলো।”

“কি বলছেন আপনি?”

অদ্ভুত গলায় বলল শিখা।

“উফফস! খুলে ফেলো বলতে চেঞ্জ করার কথা বলছি।”

শিখা হাত উল্টিয়ে গলার নেকলেস খোলার চেষ্টা করছে। পারছে না। রাজ শিখার পিঠ বরাবর বসে গলার নেকলেস, কানের দুল,মাথার টিকলি,ওড়নার সেফটিপিন খুলে দিলো। সেগুলো টেবিলের ড্রয়ারে রাখলো। শিখা রাজকে ডিঙিয়ে পালংক থেকে মেঝেতে নামলো। অন্য একটি পরনের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে গেলো। শাড়ি, পেটিকোট, ব্লাউজ চেঞ্জ করলো। মুখ ধুয়ে নিলো। এসে পালংকের উপরে উঠে গেলো। শুয়ে পড়লো। রাজও পাঞ্জাবি, প্যান্ট চেঞ্জ করে, শর্ট হাতার টি শার্ট ও টাওজার পরে নিলো। এক গ্লাস পানি খেয়ে বিছানায় উঠে বসলো।

রাজ শিখাকে দেখছে উম্মাদনীয় চোখে। তার ভিতরে জেগে উঠছে এক প্রেমিক সত্তা। সে যত্ন করে শিখার ঘাড় থেকে চুলগুলো সরিয়ে নিলো। ঘাড়ের খোলা অংশে নিজের শুষ্ক দুই ঠোঁট চেপে ধরলো। তার ঘন উষ্ণ নিঃশ্বাস শিখা অনুভব করতে পারছে। সে শিখার ঘাড়ে পাশাপাশি ঠোঁট ঘষতে লাগলো মৃদুছোঁয়ায়। শিখার ভিতরে প্রচণ্ড ভাঙ্গচুর হচ্ছে নদীর পাড় ভাঙ্গার মতো। রাজ একটু একটু করে সুখের নির্যাস নিতে চাচ্ছে শিখার অঙ্গ সুরভী থেকে। শিখার বুকে হাত রাখতেই শিখা মৃদু চিৎকার দিয়ে উঠে।

“আল্লাহ! থামেন। এমন করেন কেন?”

রাজ আবারো হকচকিয়ে গেলো। শিখাকে কাত থেকে চিৎ করে ফেলল। হতভম্ব গলায় বলল,

“এই প্রজাপতি, আমি রাজ। তোমার হাজব্যান্ড। তুমি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। ফুলসজ্জায় কি হয় জান না? দেড়বছর অপেক্ষা করেছি। এই রাতেও তৃষ্ণায় মারবে আমাকে?”

তারপর দুষ্টমিষ্ট গলায় বলল,

“তুমি বেশ হালকা। আমার পুরো ভার নিতে পারবে না। তারচেয়ে তুমি সোজাসুজি হয়ে আমার গায়ের উপরে উঠে শোওতো বুকে মাথা রেখে।”

শিখার হৃদকম্পন পারদের ন্যায় উঠানামা করছে। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলল,

“আ..আমিই? মাফ করবেন।”

“কি মুসিবত? তাহলে বাধা দিওনা প্লিজ। আদর করতে দাও। ভালোবাসতে দাও। তুমি নামক দরিয়ায় ডুবুরি হয়ে নামতে দাও। কুড়াতে দাও মুক্তো,ঝিনুক।”

শিখা লজ্জায় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল। রাজ শিখার হাত সরিয়ে নিলো। দুহাতের আঙ্গুল থেকে শুরু করে শিখার বাহুর উপরিভাগ পর্যন্ত চুমু খেলো। সারাগাল ভিজিয়ে দিলো চুমোয় চুমোয়। শিখার দুঠোঁট দখল করে নিলো বেশ কায়দা করে।

শিখা কাবু হয়ে যাচ্ছে। আধবোঁজা চোখে বিবশ কণ্ঠে বলল,

“লাইট অফ করছেন না কেন? আপনি অনেক বেশরম,নিলজ্জ পুরুষ! আমি আর পারছি না।”

রাজ শিখাকে পুরোপুরি আবৃত করে নিলো নিজের শরীর দিয়ে। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো শিখাকে বুকের মাঝে। বলল,

“শহুরে বাবুরা এমনিই। নিলজ্জ! বেশরম! রোমান্টিক! এবং তোমার ভাষায় আরো যা আছে তা। লাইট অফ হবে না আজ রাতে। চোরের মতো অন্ধকারে ভালোবাসবো কেন বউকে? বীরের মতো প্রজ্বলিত আলোয় দেখবো তোমাকে। তুমি নিজেইত আস্ত একটা দীপশিখা। জ্বলছো অহর্নিশ এই মন মন্দিরে। চোখের ক্ষুধা মেটাতে দাও। সে মন ভরে দেখবে আজ তোমার প্রতিটি ভাঁজ। তুমি চুপটি করে শুয়ে থাকো আর গভীরভাবে ফিল করো আমাকে।”

শিখার দম বন্ধ হয়ে আসছে এক অকল্পনীয় সুখে। দু-চোখ বন্ধ রেখেই সে নিজের অজান্তে রাজের চুলগুলো খামছি দিয়ে ধরলো। পরক্ষণেই রাজ গায়ের থেকে টিশার্ট খুলে ফেলল। ঘেমে যাচ্ছে বেশ।

উম্মাতাল হয়ে শিখার সমস্তকিছু দেখলো নেশাগ্রস্ত চাহনি নিক্ষেপ করে। সে একে একে শিখার অতলান্তে হারিয়ে যায়। উম্মুক্ত করে ফেলে শিখা নামক স্বর্গের প্রতিটি দরজা। অস্রধারী শক্তিশালী রাজার মতো তার সমস্ত ঢাল তলোয়ার নিয়ে অতর্কিতভাবে শুরু করে অভিসারযুদ্ধ। প্রথমবার,দ্বিতীয়বার বিপক্ষ ব্যক্তির বেয়াড়াপনার জন্য অসফল হয়। তৃতীয়বার সফল হয় ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধ চালিয়ে। ততক্ষণে বিপক্ষ ব্যক্তির পরাজিত শরীর অসাড়, নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। নিদ্রায় ঢলে পড়ে দুজন।

সকালে ভেন্টিলটরে বসা একজোড়া কবুতরের ডাকে শিখার ঘুম ভাঙে। একি! সে উঠতে গিয়েও পারছে না। তার পুরো শরীর এত ব্যথা করছে কেন? এত খারাপ লাগছে কেন তার? সে বুঝতে পারলো কিছু। দেখলো রাজ বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। শিখা ব্যথায় নাকমুখ খিঁচিয়ে নামলো। তার চোখে পড়লো টেবিলের উপরে থাকা কাগজটির লিখা।

“ওয়াশরুমে স্যাভলন আছে। ইউজ করবে। ড্রয়ারে দুটো ট্যাবলেট রাখা আছে। খেয়ে নিবে।”

শিখা লজ্জায় ঠোঁট কামড়ে ধরলো। দুটো ট্যাবলেট খেয়ে নিলো। কিসের জন্য,কেন খেতে বলল রাজ? এটা সে দ্বিতীয়বার ভাবলো না। স্বামীর আদেশ তার কাছে শিরোধার্য। ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল সেরে নিলো। এসে নামাজ পড়লো। কোরান তেলওয়াত করলো। রুমের সামনের খোলা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।

আজ দৃষ্টিজুড়ে যা দেখছে সবই তারকাছে ভালোলাগছে। নতুন লাগছে। অন্যরকম সুখানুভূতি তার হৃদয়জুড়ে। ভোরের ওই স্নিগ্ধ হাওয়া, পাখির কলতান, দুলে দুলে চলা একদল রাজহাঁস, রোজ দেখা মানুষগুলো, চেনা প্রকৃতি, চেনা গাছগুলো, আকাশ, মেঘপুঞ্জ, সবই মোহাচ্ছন্ন চোখে দেখছে শিখা। একান্ত প্রিয়জনের সান্নিধ্য,নিবিড় আলিঙ্গন বুঝি এমনি সুখ দেয়। অপার আনন্দে ভরিয়ে দেয় বুকের ভিতরটা।

হঠাৎ একটা কুকুরের বিকট আওয়াজে শিখা সম্বিৎ ফিরে পায়। সে রুমে গিয়ে দেখলো রাজ তখনো ঘুমাচ্ছে। শিখা নিচতলায় চলে গেলো। নয়তো সবাই কি ভাববে এই মনে করে। সে দেখলো সবাই তার ভেজা চুল ও তারদিকে এমনভাবে আড়চোখে তাকাচ্ছে,যেন এলিয়েন নেমে এসেছে পৃথিবীতে। সবার দৃষ্টিতে শিখা তারজন্য,ঈর্ষা,অবহেলা,অনাদর,

অসম্মানের আবরণ দেখতে পেলো।

সেই সকালেই হঠাৎ একটি অচেনা ছেলের আগমন ঘটলো তালুকদার বাড়িতে। বরকত পা চালিয়ে এসে তার পরিচয় জানতে চাইলো। অন্যরাও এগিয়ে এলো। ছেলেটি বলল,

“আমি সদর হাসপাতাল থেকে আসছি। আজ ভোরে রাস্তার উপরে জুবায়ের নামের একজন মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করেছে। উনার মানিব্যাগ থেকে এই ঠিকানা পাওয়া গেলো। আপনারা দ্রুত আসুন।”

আমেনা আল্লাগো! বলে আর্তচিৎকার দিয়ে উঠলো। অন্যরাও কান্নারত। শিখা প্রায় দৌড়ে গেলো আমেনার কাছে। চাচী বলে উনাকে জড়িয়ে ধরলো। নিজেও কেঁদে ফেলল। এতদিনে সবকিছুর জন্য জুবায়েরের উপর শিখার মনের গহীনে বেশ মায়া জমে গিয়েছে। যা শিখা এই মুহূর্তে উপলব্ধি করতে পারলো।

রাজের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকেই ভার গলায় জিজ্ঞেস করলো,

“কি হয়েছে? চাচী কাঁদছে কেন?”

বরকত দোতলার বারান্দায় তাকিয়ে জোরগলায় বিষয়টা বলল রাজকে। রাজ নির্বাক হয়ে গেলো। তৎক্ষণাৎ হন্তদন্ত হয়ে নিচে নেমে উঠানের দিকে গেলো।

বলল,

“সবাই আল্লাহকে ডাকেন না কান্নাকাটি করে। আমি এক্ষুনি যাচ্ছি হসপিটালের দিকে।”

রাজ দোতলায় গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তৈরি হয়ে নিলো। এবং চিন্তিত স্বরে মনে মনে বলল,

জুবায়ের রাতে চলে গেলো। ভোরে এক্সিডেন্ট করলো। প্রেমঘটিত কোন বিষয় নাকি অন্যকিছু? এটা নিশ্চিত হতে হবে আমাকে।

রাজবধূ ৪৫ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!