রমজানের শিক্ষা

এই গল্পটি আমি আমার আব্বুর মুখে শুনেছি। গল্প বলার সময় কিছু কিছু ভুল হতেই পারে, তবে মূল ঘটনা সত্য। পাঠকের কাছে আমি এটি সত্যঘটনার রূপে তুলে ধরছি।

পবিত্র রমজানের সময় পাকিস্তানের এক মুসলিম পরিবারে ইফতার বানানোর আয়োজন চলছিল। সালমা বেগম তার মেয়ে ফাতেমাকে বললেন,
“ফাতেমা, তুমি কি আমাকে ইফতার বানাতে একটু সাহায্য করবে?”

কিন্তু ফাতেমা উত্তর দিল,
“মা, যদি আমি ইফতার বানাতে সাহায্য করি, তাহলে আমার প্রিয় অনুষ্ঠানটি টিভিতে মিস হয়ে যাবে। আমি পারব না।”

বলেই সে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিল।

সময় কেটে গেল, কিন্তু ফাতেমা ঘর থেকে বের হল না। সালমা বেগম চিন্তিত হয়ে বারবার দরজায় ডাক দিলেন, কিন্তু কোনও সাড়া পেলেন না।

ফাতেমার বাবা এবং ভাইরা নিজ নিজ কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরলেন। ইফতারের সময় হয়ে আসছে, কিন্তু ফাতেমা বের হচ্ছে না দেখে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। সালমা বেগম পুরো ঘটনা খুলে বললেন। দুশ্চিন্তায়, ফাতেমার বাবা দরজায় ডাক দিলেন, কিন্তু সাড়া না পেয়ে তারা দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন।

দরজা ভাঙার পর যা দেখলেন, তা দেখে সালমা বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। ফাতেমা মেঝেতে পড়ে ছিল, দেহে কোনও প্রাণ নেই। কান্নার রোল উঠলো পুরো বাড়িতে।

কিন্তু লাশ নিয়ে একটি অদ্ভুত সমস্যা দেখা দিল। কেউও ফাতেমার দেহ সরাতে পারছিল না। তখন একজন পরামর্শ দিল টিভি সরিয়ে নেওয়ার।

যেমনই টিভি সরানো হলো, ফাতেমার দেহ নড়ে উঠলো। অস্বাভাবিক হলেও টিভির মাধ্যমেই ফাতেমার দেহকে স্থানান্তর করা সম্ভব হলো। গোরস্থানে ফাতেমার লাশ কবর খুঁড়ে নামানো হলো। কিন্তু দাফনের সময় দেখা গেল, টিভি না থাকলে দেহ মাটি থেকে ছিটকে পড়ছে। তাই ফাতেমাকে অবশেষে টিভিসহ কবর দেওয়া হলো।

এই গল্প থেকে বোঝা যায়, রোজা শুধু না খেয়ে থাকা নয়, বরং সকল প্রকার ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ ও আত্মসংযমও রোজার অংশ।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!