রবিন একটি ভালো ছেলে ! ছোট গল্প

রবিন তার হাতের স্যুটকেসটাকে প্রথমে গাড়ি পেছনে রাখলেও পরে রবিন ভাবলো নাহ! যে দিনকাল পড়েছে চুরবাটপার সব দেশেই তবু অ্যামেরিকার গুইন শহরে এর একটু বেশিই আড্ডা । চোরের ভয়ে রবিন স্যুটকেসটাকে গাড়ির পেছন থেকে এনে এবার গাড়ির ওপরে ভালো ভাবে বেঁধে নিল । এখন পুরো নিরাপদ সে ।
আজ কাল যা হয়েছে সারজেনের চেয়ে ট্রাফিক বেটারা আরো বেশি টাকার লোভি । কোন মতে আমার গাড়ি আটকাতে পারলেই হল । ওর তাহলে আজ চাঁন রাত । আমার গাড়ির কোন কাগজই ঠিক নাই । অবশ্য কাগজ বিহীন এই ঠেলাগাড়ি মার্কা গাড়ির
জন্য আমি ওদের একটাকাও ঘুষ দেবো না । রবিন গুইন শহর অতিক্রম করে প্রায় চারশত কিলোমিটার পূর্বে নিকি গাঁয়ে যাবে । সেখানেই রবিনের বাল্য কালের সকল সৃত্বি বিচরিত ।
অবশ্য নিকি গাঁয়ে এখন আর রবিনের কেও বেঁচে নাই । রবিন কারাগরে থাকা অবস্থায় ওর মা পৃথিবী ছেড়ে ওপারে চলে গেছে ।
একটানা বেশ কিছুক্ষন গাড়ি চালিয়েছে রবিন । এবার গুইন শহরকে বিদায় দিতে হবে । আর নিকি গাঁয়ে যেতে রবিনকে সামনে যে রাস্তা দিয়ে যেতে হবে তার শুরুতেই রবিনকে প্রায় একশত কিলোমিটার রাস্তা যেতে হবে বুকের ভেতর কিছুটা ভয় ও সাহস নিয়ে । কেননা ওই একশ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশ ধরে শুধু বন আর জঙ্গল তেমন বেশি একটা বাড়ি ঘর নেই ।

সামনে বাজারে নেমে রবিন কয়েক পেকেট সিগারেট ও হালকা
খেয়ে নিল । রবিন এক কথায় বিশ্বাসি আর তা হল পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে খেতে হবেই আগে আর পরে । তাই সে বিশ্বাস করে পেট শান্তি সব শান্তি ।

রবিন একটি সিগারেট ধরিয়ে সিগারেট টানটে টানটে খুব দ্রুত গতি বেগে গাড়িতে উঠলো । রবিন গাড়ি নিয়ে চার কি পাঁচ গজ দূরে যেতেই এমন সময় রবিনের পাশ দিয়ে আরেকটি গাড়ি যাচ্ছে । হঠাৎ রাস্তার ওপার থেকে আসা একটি মেয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় রবিনের পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে রাস্তা থেকে ছিটকে রবিনের গাড়ির পাশে এসে পড়লো । ও গাড়িটি চলে গেল । আর রবিন এ ঘটনা দেখে সে দাড়িয়ে গেল । কিন্তু রাস্তায় থাকা লোকজন এসে রবিনের গাড়িটি দেখে ভুল করে রবিনকে এই দূরঘটনার জন্য দায়ী করলো ।

বেচারা রবিন ফেঁসে যেয়ে মেয়েটিকে ও সেখানের আরো চারজন লোক সহ তার গাড়ি দিয়ে মেয়েটিকে হাসপাটালে নিলো । ডাক্তাররা মেয়েটিকে ভর্তি করলো ও চিকৎসা করতে লাগলো । মেয়েটির পায়ে সব থেকে বেশি আঘাত পেয়েছে । আর এত বেশি আঘাত পেয়েছে যে কারনে মেয়েটির একটি পা কেঁটে ফেলতে হয়েছে ।

মেয়েটির পরিবারকে খবর দেওয়া হল । তারা এসে তাদের মেয়ের দূরঘটনার জন্য খুব কষ্ট পেল । রবিন মেয়েটির পরিবারে সাথে কথা বলে বুঝতে পারলো মেয়েটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা বেশি ভালো না । মেয়েটির বাবা ছোট একটি চাকুরি করে । আর সে যে বেতন পায় তাতে তাদের সংসার চলতেই অনেক কষ্ট হয়ে যায় ।
তাই তারা ভাবনায় পরে গেল মেয়েটির চিকৎসার খরচ নিয়ে । রবিন তাদের কষ্ট বুঝতে পারলো । তাই রবিন মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলে মেয়েটির চিকিৎসার ও মেয়েটির যাবতীয় দায়ত্ব তার কাঁধে তুলে নিলো ।

দুঃখিত!